বিজ্ঞান দিয়ে যদি ভালবাসাকে ব্যখ্যা করা হয় তবে কেমন হয় !! পড়েই দেখুন
বিজ্ঞানের ভাষায়, প্রেম বা ভালবাসা হলো আমাদের মস্তিষ্কের থ্যালামাসের একধরনের রাসায়নিক অবস্থা | যার জন্য একাধারে দায়ী আমাদের জিন। প্রেমের প্রথমদিকে হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, গাল – কান লাল হয়ে যাওয়া, হাতের তালু ঘেমে যাওয়ার উপসর্গ গুলো দেখা যায়; বিজ্ঞানীদের মতে সেসবের পেছনে দায়ী হলো ডোপামিন, নরেপিনেফ্রিন হরমোন।
মাঝে
মাঝে দেখা যায় কারো কারো প্রেমের আবেগ কমে যায়। তার কারণ মস্তিষ্ক থেকে
ওই হরমোনগুলো নিঃসৃত হয় না। আবার এও দেখা গেছে যে কোনো মানুষের শরীরে
কৃত্রিমভাবে এই হরমোন রসায়ন প্রয়োগ করা হলে তাদের মাঝে সেই প্রেমের
অনুভূতি হয়। প্রেম ভালবাসা যাই বলি না কেন স্বর্গীয় ফরগীয় যাই বলি না
কেন রে ভাই সবই রসায়নের রসের খেলা! দুই
প্রেমিক প্রেমিকার সদা ঘোর লাগা অবস্থার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কি? এ
নিয়ে রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্ববিদ হেলেন ফিশার এবং স্নায়ুচিকিৎসক
লুসি ব্রাউন, আর্থার অ্যারোন প্রমুখ বিজ্ঞানীরা প্রায় ৪০ জন প্রেমে পড়া
ছাত্রছাত্রীদের উপর এক গবেষণা চালান। তাদের গবেষণার ধরনটি ছিলো এরকমের।
প্রেমিক-প্রেমিকাদের সামনে তাদের ভালবাসার মানুষটির ছবি রাখা হল, এবং তাদের
মস্তিষ্কের ফাংশনাল এমআরআই (fMRI) করা হলো। দেখা গেলো, এ সময় তাদের
মস্তিষ্কের ভেন্ট্রাল এবং কডেট অংশ উদ্দিপ্ত হচ্ছে, আর সেখান থেকে প্রচুর
পরিমাণে ডোপামিন নামক এক রাসয়ায়নিক পদার্থের নিঃসরণ ঘটছে। অবশ্য কারো দেহে
ডোপামিন বেশি পাওয়া গেলেই যে সে প্রেমে পড়েছে তা নাও হতে পারে। আসলে
নন-রোমান্টিক অন্যান্য কারণেও কিন্তু ডোপামিনের নিঃসরণ বাড়তে পারে। যেমন,
গাঁজা কিংবা কোকেইন সেবন করলে। সেজন্যই আমরা অনেক সময়ই দেখি ভালবাসায়
আক্রান্ত মানুষদের আচরণও অনেকটা কোকেইনসেবী ঘোরলাগা অবস্থার মতোই টালমাটাল
হয় অনেক
ঘড়ি ও গণিতের সম্পর্ক
ঘড়ি, আমরা প্রতিনিয়ত ব্যবহার করছি। ১ থেকে ১২ পর্যন্ত সংখ্যা গুলো যদি একটু ভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়? তখন কেমন দেখাবে ঘড়ি গুলো?
নিচের ঘড়িটা দেখা যাক,
এই ঘড়িটি আমাদের কি কি তথ্য দিচ্ছে?
(১) পিথাগোরাস-এর মতে, ১ হচ্ছে প্রথম নমন সংখ্যা অর্থাৎ প্রথম বিজোড় সংখ্যা।
(২) ২ হচ্ছে একমাত্র জোড় মৌলিক সংখ্যা। প্রাচীন গ্রীসে, ২-কে নারী সংখ্যা হিসেবে বিবেচনা করা হত!!!
(৩) প্রাচীন গ্রীসে, ৩-কে পুরুষ সংখ্যা হিসেবে বিবেচনা করা হত!!!
(৪) ২ এর সাথে ২ যোগ করলে বা গুণ করলেও ফলাফল ৪ হয়। এটি একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য।
a a=b SPamp a*a=b এখানে a=২ এবং b=৪(চার)।
*centered triangular number নির্ণয়ের সূত্রঃ 3n^2যোগ3nযোগ 2/2
চার হচ্ছে দ্বিতীয় centered triangular number.
আবিষ্কৃত সবথেকে বড় মৌলিক সংখ্যাগুলো
এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় মৌলিক সংখ্যাগুলোর তালিকা
পৃথিবীর বয়স যেভাবে নির্ণায়িত
সভ্যতার ঊষালগ্ন থেকেই আমাদের আবাসভূমি মানুষের মনে জন্ম দিয়ে আসছে বিচিত্রসব প্রশ্নের। তেমনি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো-‘পৃথিবীর বয়স কত?’
বিভিন্ন
সময়ে বিভিন্ন বিজ্ঞানী বিভিন্নভাবে এই প্রশ্নের সমাধান দিয়েছেন। কারো মতে,
পৃথিবী আদি ও অনন্ত, এর কোনো সৃষ্টি বা ধ্বংস নেই। কিন্তু বিরোধীরা বলেছেন
অন্য কথা। তাঁদের মতে, পৃথিবী একটা নির্দিষ্ট সময়ে সৃষ্টি হয়েছে এবং এক
সময় তা ধ্বংসও হয়ে যাবে। আধুনিক বিজ্ঞান পৃথিবীর অসীমতত্ত্বকে ভুল প্রমাণিত
করেছেন। শুধু তাই নয়, আধুনিক বিজ্ঞান পৃথিবীর মোটামুটি নির্ভুল একটা বয়স
নির্ণয় করতেও সক্ষম হয়েছে। তা হলো ৫০০ কোটি বছর। পৃথিবীর সময় নির্ণয়ের মতো
একটা অকল্পনীয় কাজকে বাস্তবায়ন করতে মূল ভূমিকা পালন করেছে ইউরেনিয়াম। মানে
ইউরেনিয়ামের তেজস্ক্রিয় ধর্ম ব্যবহার করা হয় এই পরীক্ষায়।
কেবলমাত্র পৃথিবীর বয়স নয়, লক্ষ লক্ষ বছরের পুরোনো কাঠ, হাজার হাজার বছর আগে মৃত প্রাণীর কঙ্কাল, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ইত্যাদির বয়স নির্ণয়ের ক্ষেত্রেও মৌলের তেজস্ক্রিয় ধর্ম ব্যবহৃত হয়। তাই বয়স নির্ণয় প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনার পূর্বে মৌলের তেজস্ক্রিয় ধর্ম তেজস্ক্রিয়তা সম্পর্কে খানিকটা ধারাণা রাখা দরকার।
তেজস্ক্রিয়তা
এমন একটা সময় ছিল যখন বিজ্ঞানীরা মনে করতেন, পরমাণুই একটি মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম ও অবিভাজ্য কণা, সুতরাং এক ধরনের মৌলিক পদার্থকে অন্য কোনো মৌলিক পদার্থে রূপান্তর করা সম্ভব নয়।
১৮৯৭ সালে স্যার জে জে থমসন ইলেকট্রন আবিষ্কার করলেন। তখন বিজ্ঞানীরা আগের ধারণা থেকে সরে আসতে হলো। পরবর্তীকালে আরও দুটি সূক্ষ্ম কণিকা প্রোটন ও নিউট্রন আবিষ্কৃত হয়। প্রত্যেক মৌলের প্রত্যেক পরমাণুই মূলত এই তিনটি সুক্ষ্ম কণিকা (ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন) দিয়ে গঠিত। এ সমন্বয় অনেকটা আমাদের সৌরজগতের মতো। সৌরজগতে সূর্যকে কেন্দ্র করে যেন গ্রহগুলো নিজ নিজ কক্ষপথে ঘুরছে, তেমনি পরমাণুতে ইলেকট্রনগুলো একটি নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে নিজ নিজ কক্ষপথে সর্বদা ঘুরছে। প্রোটন ও নিউট্রনের সমন্বয়ে পরমাণুর নিউক্লিয়াস গঠিত হয়। কোন মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসের ভেতরের প্রোটন ও নিউট্রনের মিলিত সংখ্যাকে ওই মৌলের ভরসংখ্যা বলে।
এক একটি নির্দিষ্ট মৌলের জন্য ভরসংখ্যা নির্দিষ্ট থাকে। অধিকাংশ মৌলের ক্ষেত্রেই পরমাণুর ভর সংখ্যা স্থিতিশীল। কিন্তু কিছু মৌল আছে, যাদের ভর সংখ্যা পরিবর্তনীয়। নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ার সাহায্যে প্রথমে এসব মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে ভাঙন সৃষ্টি করা হয। অতঃপর ভরসংখ্যা পরিবর্তন করে (নিউক্লিয়াসের প্রোটন অথবা নিউট্রন সংখ্যা হ্রাস বা বৃদ্ধি করে) এক ধরনের মৌলকে সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী অন্য কোনো মৌলে পরিণত করা সম্ভব। আবার এমন কিছু অস্থিতিশীল মৌল আছে, যাদেরকে অন্য মৌলে পরিণত করতে নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ার প্রয়োজন হয় না। এসব মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসকে এক ধরনের রশ্মি (আলফা বা বিটা বা গামা রশ্মি) বিকিরণ করে ক্ষয়প্রাপ্ত হয। ফলে সংশ্লিষ্ট পরমাণুর ভরসংখ্যা পরিবর্তিত হয়ে অন্য মৌলের পরমাণুতে পরিণত হয়। মৌলের এই রশ্মি বিকিরণ ধর্মকে তেজস্ক্রিয়তা বলে। বিকিরিত রশ্মিকে তেজস্ক্রিয় রশ্মি এবং বিকিরক মৌলকে তেজস্ক্রিয় মৌল বা তেজস্ক্রিয় পদার্থ বলে। তেজস্ক্রিয় মৌলের রশ্মি বিকিরণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বতঃস্ফূর্ত এবং এর উপর বহিঃশক্তির কোনো প্রভাব নেই। একটি অস্থিতিশীল মৌল তেজস্ক্রিয় রশ্মি বিকিরণ করে সম্পূর্ণরূপে রূপান্তরিত হয়ে ভিন্নধর্মী একটি স্থিতিশীল মৌলে পরিণত হওয়ার আগ পর্যন্ত তার তেজস্ক্রিয়তা অব্যহত থাকে। একটি নির্দিষ্ট সময় পর একটি তেজস্ক্রিয় মৌল রশ্মি বিকিরণ করে আদি ওজনের অর্ধেকে পরিণত হয় এবং বাকি অর্ধেক অন্য মৌলে পরিণত হয়। ঐ নির্দিষ্ট সময়কে ঐ মৌলের অর্ধায়ু বলে।
যেমন--থোরিয়ামের (একটি তেজস্ক্রিয় মৌল) অর্ধায়ু ২৪ দিন। অর্থাৎ ২৪ দিনে একখণ্ড থোরিয়াম ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে মূল ওজনের অর্ধেকে পরিণত হয়। আরো ২৪ দিন পর অর্থাৎ মোট ৪৮ দিন পর প্রাথমিক ওজনের এক-চতুর্থাংশ, ৭২ দিন পর এক-অষ্টমাংশ এবং ৯৬ দিন পর এক ষোঢ়শাংশ থোরিয়াম অবশিষ্ট থাকবে এবং বাকি অংশ অন্য মৌলে রূপান্তরিত হবে। অর্থাৎ ১০০ গ্রামের একটি থোরিয়ামখণ্ড নিয়ে পরীক্ষা করলে দেখা যাবে, ২৪ দিন পর খণ্ডটিতে ৫০ গ্রাম, ৪৮ দিন পর ২৫ গ্রাম, ৭২ দিন পর ১২.৫ গ্রাম এবং ৯৬ দিনে ৬২.৫ গ্রাম থোরিয়াম অবশিষ্ট থাকবে। সুতরাং আমরা বলতে পারি ওজনের সাথে তেজস্ক্রিয় ক্ষয়ের (রশ্মি বিকিরণের) কোনও সম্পর্ক নেই। তাই একই তেজস্ক্রিয় মৌলের বিভিন্ন খণ্ডের অর্ধায়ুও এক হবে। আবার বিভিন্ন মৌলের রশ্মি বিকিরণের হার বিভিন্ন। তাই দুটি ভিন্ন প্রকার মৌলের অর্ধায়ু কখনো এক হবে না। আবার একটি মৌলের সবগুলো পরমাণুর নিউক্লিয়াস একই সাথে রশ্মি বিকিরণ শুরু করে না। এ প্রক্রিয়া সংগঠিত হয় ধাপে ধাপে। যদি তা না হত, তাহলে একই সাথে একটি মৌলের সবটুকু অংশ অন্য মৌলে পরিণত হতো। সেক্ষেত্রে অর্ধায়ু অস্তিত্বহীন (বাস্তবে যা অসম্ভব) হয়ে পড়ত।
ইউরেনিয়ামের সাহায্যে পৃথিবীর বয়স নির্ণয়
ইউরেনিয়ামের পারমাণবিক গঠন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়--এটা একটা তেজস্ক্রিয় পদার্থ। এর পরমাণুর ভেতরে থাকা নিউক্লিয়াসগুলো ক্রমাগত রশ্মি বিকিরণ করে সীসাতে রূপান্তরিত হয়। সীসা হলো অতেজস্ক্রিয় স্থিতিশীল মৌলিক পদার্থ। প্রতি সেকেন্ডে রশ্মি বিকিরণের হার ব্যবহার করে একটা গাণিতিক সমীকরণের সাহায্যে ইউরেনিয়ামের অর্ধায়ু নির্ণয় করা হয়। সকল তেজস্ক্রিয় মৌলের অর্ধায়ু এ প্রক্রিয়ায় নির্ণয় করা হয়।
পরীক্ষা করে দেখা গেছে ইউরেনিয়ামের অর্ধায়ু ৪৫০ কোটি বছর। অর্থাৎ এক খণ্ড ইউরেনিয়ামের প্রাথমিক পর্যায়ে যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম পরমাণু থাকে ৪৫০ কোটি বছর পর ঐ খণ্ডতে তার অর্ধেক পরিমাণ ইউরেনিয়াম পরমাণু অবশিষ্ট থাকবে এবং বাকি অর্ধেক পরমাণুর নিউক্লিয়াস ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে সীসা’র পরমাণুতে রূপান্তরিত হবে।
ধারণা করা হয় মহাবিস্ফোরণ দ্বারা সৌরজগত সৃষ্টির সময় এর সকল গ্রহ নক্ষত্রের সাথে আমাদের পৃথিবী জন্ম লাভ করে। প্রথমে এটা ছিল একটা জলন্ত অগ্নিগোলক। কালের বিবর্তনে তাপ বিকিরণ করতে করতে এক সময় এটা কঠিন রূপ লাভ করে। বর্তমান পৃথিবীতে সবচেয়ে পুরোনো যেসব কঠিন শীলা খণ্ডগুলো পাওয়া গেছে, ধারণা করা হয় তা পৃথিবী সৃষ্টির শুরুর দিকের শিলাখণ্ড। সুতরাং এ সব শীলাখণ্ডগুলোর বয়স পৃথিবীর বয়সের কাছাকাছি বলে ধারণা করা হয়। সুতরাং শীলাখণ্ডগুলোর বয়স নির্ণয় করতে পারার অর্থই হলো পৃথিবীর বয়স নির্ণয় করা।
ইউরেনিয়ামযুক্ত কতগুলো প্রাচীন শীলাখণ্ড নিয়ে পরীক্ষা করলে দেখা যাবে, এগুলোতে যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম পরমাণু আছে ঠিক সেই পরিমাণ সীসার পরমাণুরও রয়েছে। যেহেতু ইউরেনিয়াম ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে অনবরত সীসায় পরিণত হয়। সুতরাং আমরা বলতে পারি শীলাখণ্ডগুলো সৃষ্টির সময় তাতে শুধুমাত্র ইউরেনিয়াম পরমাণু ছিল, কোনো সীসার পরমাণু ছিল না। সময়ের হাত ধরে তেজস্ক্রিয় রশ্মি বিকিরণ করতে করতে ইউরেনিয়াম পরমাণুগুলোর অর্ধেক সীসায় পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ শীলাখণ্ডগুলোতে বিদ্যমান ইউরেনিয়াম বর্তমানে তার অর্ধায়ুতে অবস্থান করছে। যেহেতু ইউরেনিয়ামের অর্ধায়ু ৪৫০ কোটি বছর। সুতরাং শীলাখণ্ডগুলোর বয়সও ৪৫০ কোটি বছর। আবার শীলাখণ্ডগুলোর বয়স পৃথিবীর বয়সের কাছাকাছি ধরলে পৃথিবীর বয়স ৪৫০ কোটি বছরের কিছু বেশি বলে ধরে নেয়া হয়। সেটা কেউ বলেছেন ৫০০ কোটি বছর কারো মতে ৬০০ কোটি। যেটাই হোক, তা ৪৫০ কোটির চেয়ে খুব বেশি ব্যবধানের তো নয়।
তেজস্ক্রিয় কার্বনের সাহায্যে বহু পুরানো বস্তুর বয়স নির্ণয়
ইউরেনিয়ামের সাহায্যে নির্ণীত পৃথিবীর বয়সটা পুরোপুরি নির্ভুল না হলেও তেজস্ক্রিয় কার্বণ পদ্ধতিতে যেসব বস্তুর বয়স নির্ণয় করা হয় তা সম্পূর্ণরূপে ভুলত্রুটির উর্ধ্বে। যেমন, বহু বছরের পুরোনো কাঠ, কয়লা, বিভিন্ন প্রাণীর কঙ্কাল, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন প্রভৃতি।
উদ্ভিদ, প্রাণীসহ সমস্ত জীবকুলের দৈহিক গঠনের অন্যতম প্রধান উপাদান কার্বন। কার্বন প্রধানত দুই প্রকার। একটা স্থিতিশীল অতেজস্ক্রিয় কার্বন। অন্যটা অস্থিতিশীল তেজস্ক্রিয় কার্বন। তেজস্ক্রিয় কার্বন ক্রমাগত রশ্মি বিকিরণ করে ক্ষয়প্রাপ্ত হয। স্থিতিশীল অতেজস্ক্রিয় কার্বণ প্রকৃতিতে মুক্ত অবস্থায় বা যৌগিক পদার্থের উপাদান হিসাবে পাওয়া যায়। আর তেজস্ক্রিয় কার্বন নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ার সাহায্যে সৃষ্টি হয়।
স্থিতিশীল কার্বন-ডাই-অক্সাইড, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, হাইড্রোজেন প্রভৃতি গ্যাসসমূহ বায়ুমণ্ডেলর প্রধান উপাদান। মহাকাশের বিভিন্ন্ গ্রহ, নক্ষত্র, মহাজাগতিক থেকে আসা এক ধরনের তেজস্ক্রিয় রশ্মি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আমাদের বায়মন্ডলে। এইসব রশ্মিকে মহাজাগতিক রশ্মি বলে। মহাজাগতিক রশ্মিতে যেসব নিউট্রন থাকে সেগুলো বায়ুমণ্ডলের নাইট্রোজেন পরমাণুর নিউক্লিয়াসগুলোকে আঘাত করে। ফলে নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া সংঘটিত হয়। নাইট্রোজেন নিউক্লিয়াসে ভাঙ্গনের ধরে। ফলে সম্পূর্ণ নতুন ভরসংখ্যার দুটি ভিন্ন পরমাণুর নিউক্লিয়াস সৃষ্টি হয়।
নবগঠিত দুটি পরমাণুর একটা হলো হাইড্রোজেন। অন্যটা তেজস্ক্রিয় কার্বন। উৎপন্ন হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই তেজস্ক্রিয় কার্বন পরমাণুগুলো বায়ুমণ্ডলের অক্সিজেন পরমাণুর সাথে যুক্ত হয়ে তেজস্ক্রিয় কার্বন-ডাই-অক্সাইড গঠন করে। সবুজ উদ্ভিদ খাদ্য তৈরির উদ্দেশ্যে বায়ুমণ্ডল হতে কার্বন-ডাই-অক্সাইড (স্থিতিশীল ও তেজস্ক্রিয় উভয় প্রকার) শোষণ করে। শোষণ করা এসব কার্বন-ডাই-অক্সাইড অণু উদ্ভিদের দেহাভ্যান্তরে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে কাবর্ন (তেজস্ক্রিয় ও অতেজস্ক্রিয়) ও অক্সিজেন পরমাণুতে বিভক্ত হয়ে যায়। পরবর্তীতে অক্সিজেন পরমাণুগেুলো উদ্ভিদের দেহ থেকে বেরিয়ে আসে। কিন্তু তেজস্ক্রিয় ও অতেজস্ক্রিয় উভয় প্রকার কার্বন পরমাণু দেহাভ্যান্তরে থেকে যায়। যেহেতু পশুপাখি ও মানুষ খাদ্য হিসাবে উদ্ভিদ, ফলমূল ও শস্যদানা গ্রহণ করে, ফলে উদ্ভিদের দেহে জমে থাকা কার্বণ (তেজস্ক্রিয় ও অতেজস্ক্রিয়) পশুপাশি ও মানুষের শরীরে চলে যায়। আবার মাংশাসী প্রাণী খাদ্য হিসাবে বিভিন্ন প্রাণীকে ভক্ষণ করে, সুতরাং এসব প্রাণীর মাধ্যমে মাংশাসী প্রাণীর শরীরেও কার্বন পৌঁছে যায়। জীবন্ত উদ্ভিদ ও প্রাণীদের দেহে কার্বনের এই সরবরাহ এমনভাবে ঘটে, মৃত্যুর সময় প্রতিটি জীবদেহে তেজস্ক্রিয় ও অতেজস্ক্রিয় কার্বনের অনুপাত সর্বদা সমান (১:১) থাকে। মৃত্যুর সময়ে তেজস্ক্রিয় কার্বনের পরমাগুলো তেজস্ক্রিয় রশ্মি বিকিরণ করে ধীরে ধীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হতে থাকে। কিন্তু অতেজস্ক্রিয় কার্বন পরমাণুগুলো নিউক্লিয়াস স্থিতিশীল। তাই মৃতদেহে যুগ যুগ ধরে অতেজস্ক্রিয় কার্বনের প্রতিটি পরমাণু অক্ষুণ্ন থাকে।
গবেষণায় প্রমাণিত ও তেজস্ক্রিয় কার্বনের অর্ধায়ু ৫৭৬০ বছর। অর্থাৎ ৫৭৬০ বছর পর কোনো মৃতদেহ মিশে থাকা তেজস্ক্রিয় কার্বন পরমাণুর সংখ্যা কমে অর্ধেক চলে আসে। মানে অর্ধেক অবশিষ্ট থাকে আরকি।
যেহেতু জীবের মৃত্যুর সময় উভয় কার্বনের অনুপাত সমান (১:১) থাকে, সুতরাং অর্ধায়ুকাল পরে মৃতদেহটিতে তেজস্ক্রিয় ও অতেজস্ক্রিয় কার্বনের অনুপাত হবে ১২ : ১। অনুরূপভাবে মৃতদেহটিতে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ অর্ধায়ুকাল পরে তেজস্ক্রিয় ও অতেজস্ক্রিয় কার্বনের অনুপাত হবে ১৪ : ১, ১৮ : ১ ও ১১৬ : ১।
ধরা যাক, একটি ফসিলে ৫০০টি তেজস্ক্রিয় ও ১০০০টি অতেজস্ক্রিয় কার্বন পরমাণু রয়েছে। তাহলে ফসিলটিতে তেজস্ক্রিয় ও অতেজস্ক্রিয় কার্বনের অনুপাত ১২ : ১। সুতরাং ফসিলটি অর্ধায়ুতে অবস্থান করছে। সুতরাং এর বর্তমান বয়স ৫৭৬০ বছর। ফসিলটিতে যখন তেজস্ক্রিয় ও অতেজস্ক্রিয় কার্বনের অনুপাত ১৪ : ১, ১৫ : ১, ১৮ : ১, ১১০ : ১ ইত্যাদি হবে তখন ফসিলটির বয়স হবে যথাক্রমে ১১৫২০ বছর, ১৩৩৭৭ বছর, ১৭২৮০ বছর, ১৯১৩৮ বছর ইত্যাদি। এভাবে তেজস্ক্রিয় ও অতেজস্ক্রিয় কার্বনের অনুপাত নির্ণয় করে কার্বনের অর্ধায়ু দ্বারা একটি গাণিতিক সমীকরণের সাহায্যে যেকোনো পুরোনো বস্তুর বয়স নির্ণয় করা যায়।
কেবলমাত্র পৃথিবীর বয়স নয়, লক্ষ লক্ষ বছরের পুরোনো কাঠ, হাজার হাজার বছর আগে মৃত প্রাণীর কঙ্কাল, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ইত্যাদির বয়স নির্ণয়ের ক্ষেত্রেও মৌলের তেজস্ক্রিয় ধর্ম ব্যবহৃত হয়। তাই বয়স নির্ণয় প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনার পূর্বে মৌলের তেজস্ক্রিয় ধর্ম তেজস্ক্রিয়তা সম্পর্কে খানিকটা ধারাণা রাখা দরকার।
তেজস্ক্রিয়তা
এমন একটা সময় ছিল যখন বিজ্ঞানীরা মনে করতেন, পরমাণুই একটি মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম ও অবিভাজ্য কণা, সুতরাং এক ধরনের মৌলিক পদার্থকে অন্য কোনো মৌলিক পদার্থে রূপান্তর করা সম্ভব নয়।
১৮৯৭ সালে স্যার জে জে থমসন ইলেকট্রন আবিষ্কার করলেন। তখন বিজ্ঞানীরা আগের ধারণা থেকে সরে আসতে হলো। পরবর্তীকালে আরও দুটি সূক্ষ্ম কণিকা প্রোটন ও নিউট্রন আবিষ্কৃত হয়। প্রত্যেক মৌলের প্রত্যেক পরমাণুই মূলত এই তিনটি সুক্ষ্ম কণিকা (ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন) দিয়ে গঠিত। এ সমন্বয় অনেকটা আমাদের সৌরজগতের মতো। সৌরজগতে সূর্যকে কেন্দ্র করে যেন গ্রহগুলো নিজ নিজ কক্ষপথে ঘুরছে, তেমনি পরমাণুতে ইলেকট্রনগুলো একটি নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে নিজ নিজ কক্ষপথে সর্বদা ঘুরছে। প্রোটন ও নিউট্রনের সমন্বয়ে পরমাণুর নিউক্লিয়াস গঠিত হয়। কোন মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসের ভেতরের প্রোটন ও নিউট্রনের মিলিত সংখ্যাকে ওই মৌলের ভরসংখ্যা বলে।
এক একটি নির্দিষ্ট মৌলের জন্য ভরসংখ্যা নির্দিষ্ট থাকে। অধিকাংশ মৌলের ক্ষেত্রেই পরমাণুর ভর সংখ্যা স্থিতিশীল। কিন্তু কিছু মৌল আছে, যাদের ভর সংখ্যা পরিবর্তনীয়। নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ার সাহায্যে প্রথমে এসব মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে ভাঙন সৃষ্টি করা হয। অতঃপর ভরসংখ্যা পরিবর্তন করে (নিউক্লিয়াসের প্রোটন অথবা নিউট্রন সংখ্যা হ্রাস বা বৃদ্ধি করে) এক ধরনের মৌলকে সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী অন্য কোনো মৌলে পরিণত করা সম্ভব। আবার এমন কিছু অস্থিতিশীল মৌল আছে, যাদেরকে অন্য মৌলে পরিণত করতে নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ার প্রয়োজন হয় না। এসব মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসকে এক ধরনের রশ্মি (আলফা বা বিটা বা গামা রশ্মি) বিকিরণ করে ক্ষয়প্রাপ্ত হয। ফলে সংশ্লিষ্ট পরমাণুর ভরসংখ্যা পরিবর্তিত হয়ে অন্য মৌলের পরমাণুতে পরিণত হয়। মৌলের এই রশ্মি বিকিরণ ধর্মকে তেজস্ক্রিয়তা বলে। বিকিরিত রশ্মিকে তেজস্ক্রিয় রশ্মি এবং বিকিরক মৌলকে তেজস্ক্রিয় মৌল বা তেজস্ক্রিয় পদার্থ বলে। তেজস্ক্রিয় মৌলের রশ্মি বিকিরণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বতঃস্ফূর্ত এবং এর উপর বহিঃশক্তির কোনো প্রভাব নেই। একটি অস্থিতিশীল মৌল তেজস্ক্রিয় রশ্মি বিকিরণ করে সম্পূর্ণরূপে রূপান্তরিত হয়ে ভিন্নধর্মী একটি স্থিতিশীল মৌলে পরিণত হওয়ার আগ পর্যন্ত তার তেজস্ক্রিয়তা অব্যহত থাকে। একটি নির্দিষ্ট সময় পর একটি তেজস্ক্রিয় মৌল রশ্মি বিকিরণ করে আদি ওজনের অর্ধেকে পরিণত হয় এবং বাকি অর্ধেক অন্য মৌলে পরিণত হয়। ঐ নির্দিষ্ট সময়কে ঐ মৌলের অর্ধায়ু বলে।
যেমন--থোরিয়ামের (একটি তেজস্ক্রিয় মৌল) অর্ধায়ু ২৪ দিন। অর্থাৎ ২৪ দিনে একখণ্ড থোরিয়াম ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে মূল ওজনের অর্ধেকে পরিণত হয়। আরো ২৪ দিন পর অর্থাৎ মোট ৪৮ দিন পর প্রাথমিক ওজনের এক-চতুর্থাংশ, ৭২ দিন পর এক-অষ্টমাংশ এবং ৯৬ দিন পর এক ষোঢ়শাংশ থোরিয়াম অবশিষ্ট থাকবে এবং বাকি অংশ অন্য মৌলে রূপান্তরিত হবে। অর্থাৎ ১০০ গ্রামের একটি থোরিয়ামখণ্ড নিয়ে পরীক্ষা করলে দেখা যাবে, ২৪ দিন পর খণ্ডটিতে ৫০ গ্রাম, ৪৮ দিন পর ২৫ গ্রাম, ৭২ দিন পর ১২.৫ গ্রাম এবং ৯৬ দিনে ৬২.৫ গ্রাম থোরিয়াম অবশিষ্ট থাকবে। সুতরাং আমরা বলতে পারি ওজনের সাথে তেজস্ক্রিয় ক্ষয়ের (রশ্মি বিকিরণের) কোনও সম্পর্ক নেই। তাই একই তেজস্ক্রিয় মৌলের বিভিন্ন খণ্ডের অর্ধায়ুও এক হবে। আবার বিভিন্ন মৌলের রশ্মি বিকিরণের হার বিভিন্ন। তাই দুটি ভিন্ন প্রকার মৌলের অর্ধায়ু কখনো এক হবে না। আবার একটি মৌলের সবগুলো পরমাণুর নিউক্লিয়াস একই সাথে রশ্মি বিকিরণ শুরু করে না। এ প্রক্রিয়া সংগঠিত হয় ধাপে ধাপে। যদি তা না হত, তাহলে একই সাথে একটি মৌলের সবটুকু অংশ অন্য মৌলে পরিণত হতো। সেক্ষেত্রে অর্ধায়ু অস্তিত্বহীন (বাস্তবে যা অসম্ভব) হয়ে পড়ত।
ইউরেনিয়ামের সাহায্যে পৃথিবীর বয়স নির্ণয়
ইউরেনিয়ামের পারমাণবিক গঠন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়--এটা একটা তেজস্ক্রিয় পদার্থ। এর পরমাণুর ভেতরে থাকা নিউক্লিয়াসগুলো ক্রমাগত রশ্মি বিকিরণ করে সীসাতে রূপান্তরিত হয়। সীসা হলো অতেজস্ক্রিয় স্থিতিশীল মৌলিক পদার্থ। প্রতি সেকেন্ডে রশ্মি বিকিরণের হার ব্যবহার করে একটা গাণিতিক সমীকরণের সাহায্যে ইউরেনিয়ামের অর্ধায়ু নির্ণয় করা হয়। সকল তেজস্ক্রিয় মৌলের অর্ধায়ু এ প্রক্রিয়ায় নির্ণয় করা হয়।
পরীক্ষা করে দেখা গেছে ইউরেনিয়ামের অর্ধায়ু ৪৫০ কোটি বছর। অর্থাৎ এক খণ্ড ইউরেনিয়ামের প্রাথমিক পর্যায়ে যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম পরমাণু থাকে ৪৫০ কোটি বছর পর ঐ খণ্ডতে তার অর্ধেক পরিমাণ ইউরেনিয়াম পরমাণু অবশিষ্ট থাকবে এবং বাকি অর্ধেক পরমাণুর নিউক্লিয়াস ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে সীসা’র পরমাণুতে রূপান্তরিত হবে।
ধারণা করা হয় মহাবিস্ফোরণ দ্বারা সৌরজগত সৃষ্টির সময় এর সকল গ্রহ নক্ষত্রের সাথে আমাদের পৃথিবী জন্ম লাভ করে। প্রথমে এটা ছিল একটা জলন্ত অগ্নিগোলক। কালের বিবর্তনে তাপ বিকিরণ করতে করতে এক সময় এটা কঠিন রূপ লাভ করে। বর্তমান পৃথিবীতে সবচেয়ে পুরোনো যেসব কঠিন শীলা খণ্ডগুলো পাওয়া গেছে, ধারণা করা হয় তা পৃথিবী সৃষ্টির শুরুর দিকের শিলাখণ্ড। সুতরাং এ সব শীলাখণ্ডগুলোর বয়স পৃথিবীর বয়সের কাছাকাছি বলে ধারণা করা হয়। সুতরাং শীলাখণ্ডগুলোর বয়স নির্ণয় করতে পারার অর্থই হলো পৃথিবীর বয়স নির্ণয় করা।
ইউরেনিয়ামযুক্ত কতগুলো প্রাচীন শীলাখণ্ড নিয়ে পরীক্ষা করলে দেখা যাবে, এগুলোতে যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম পরমাণু আছে ঠিক সেই পরিমাণ সীসার পরমাণুরও রয়েছে। যেহেতু ইউরেনিয়াম ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে অনবরত সীসায় পরিণত হয়। সুতরাং আমরা বলতে পারি শীলাখণ্ডগুলো সৃষ্টির সময় তাতে শুধুমাত্র ইউরেনিয়াম পরমাণু ছিল, কোনো সীসার পরমাণু ছিল না। সময়ের হাত ধরে তেজস্ক্রিয় রশ্মি বিকিরণ করতে করতে ইউরেনিয়াম পরমাণুগুলোর অর্ধেক সীসায় পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ শীলাখণ্ডগুলোতে বিদ্যমান ইউরেনিয়াম বর্তমানে তার অর্ধায়ুতে অবস্থান করছে। যেহেতু ইউরেনিয়ামের অর্ধায়ু ৪৫০ কোটি বছর। সুতরাং শীলাখণ্ডগুলোর বয়সও ৪৫০ কোটি বছর। আবার শীলাখণ্ডগুলোর বয়স পৃথিবীর বয়সের কাছাকাছি ধরলে পৃথিবীর বয়স ৪৫০ কোটি বছরের কিছু বেশি বলে ধরে নেয়া হয়। সেটা কেউ বলেছেন ৫০০ কোটি বছর কারো মতে ৬০০ কোটি। যেটাই হোক, তা ৪৫০ কোটির চেয়ে খুব বেশি ব্যবধানের তো নয়।
তেজস্ক্রিয় কার্বনের সাহায্যে বহু পুরানো বস্তুর বয়স নির্ণয়
ইউরেনিয়ামের সাহায্যে নির্ণীত পৃথিবীর বয়সটা পুরোপুরি নির্ভুল না হলেও তেজস্ক্রিয় কার্বণ পদ্ধতিতে যেসব বস্তুর বয়স নির্ণয় করা হয় তা সম্পূর্ণরূপে ভুলত্রুটির উর্ধ্বে। যেমন, বহু বছরের পুরোনো কাঠ, কয়লা, বিভিন্ন প্রাণীর কঙ্কাল, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন প্রভৃতি।
উদ্ভিদ, প্রাণীসহ সমস্ত জীবকুলের দৈহিক গঠনের অন্যতম প্রধান উপাদান কার্বন। কার্বন প্রধানত দুই প্রকার। একটা স্থিতিশীল অতেজস্ক্রিয় কার্বন। অন্যটা অস্থিতিশীল তেজস্ক্রিয় কার্বন। তেজস্ক্রিয় কার্বন ক্রমাগত রশ্মি বিকিরণ করে ক্ষয়প্রাপ্ত হয। স্থিতিশীল অতেজস্ক্রিয় কার্বণ প্রকৃতিতে মুক্ত অবস্থায় বা যৌগিক পদার্থের উপাদান হিসাবে পাওয়া যায়। আর তেজস্ক্রিয় কার্বন নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ার সাহায্যে সৃষ্টি হয়।
স্থিতিশীল কার্বন-ডাই-অক্সাইড, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, হাইড্রোজেন প্রভৃতি গ্যাসসমূহ বায়ুমণ্ডেলর প্রধান উপাদান। মহাকাশের বিভিন্ন্ গ্রহ, নক্ষত্র, মহাজাগতিক থেকে আসা এক ধরনের তেজস্ক্রিয় রশ্মি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আমাদের বায়মন্ডলে। এইসব রশ্মিকে মহাজাগতিক রশ্মি বলে। মহাজাগতিক রশ্মিতে যেসব নিউট্রন থাকে সেগুলো বায়ুমণ্ডলের নাইট্রোজেন পরমাণুর নিউক্লিয়াসগুলোকে আঘাত করে। ফলে নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া সংঘটিত হয়। নাইট্রোজেন নিউক্লিয়াসে ভাঙ্গনের ধরে। ফলে সম্পূর্ণ নতুন ভরসংখ্যার দুটি ভিন্ন পরমাণুর নিউক্লিয়াস সৃষ্টি হয়।
নবগঠিত দুটি পরমাণুর একটা হলো হাইড্রোজেন। অন্যটা তেজস্ক্রিয় কার্বন। উৎপন্ন হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই তেজস্ক্রিয় কার্বন পরমাণুগুলো বায়ুমণ্ডলের অক্সিজেন পরমাণুর সাথে যুক্ত হয়ে তেজস্ক্রিয় কার্বন-ডাই-অক্সাইড গঠন করে। সবুজ উদ্ভিদ খাদ্য তৈরির উদ্দেশ্যে বায়ুমণ্ডল হতে কার্বন-ডাই-অক্সাইড (স্থিতিশীল ও তেজস্ক্রিয় উভয় প্রকার) শোষণ করে। শোষণ করা এসব কার্বন-ডাই-অক্সাইড অণু উদ্ভিদের দেহাভ্যান্তরে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে কাবর্ন (তেজস্ক্রিয় ও অতেজস্ক্রিয়) ও অক্সিজেন পরমাণুতে বিভক্ত হয়ে যায়। পরবর্তীতে অক্সিজেন পরমাণুগেুলো উদ্ভিদের দেহ থেকে বেরিয়ে আসে। কিন্তু তেজস্ক্রিয় ও অতেজস্ক্রিয় উভয় প্রকার কার্বন পরমাণু দেহাভ্যান্তরে থেকে যায়। যেহেতু পশুপাখি ও মানুষ খাদ্য হিসাবে উদ্ভিদ, ফলমূল ও শস্যদানা গ্রহণ করে, ফলে উদ্ভিদের দেহে জমে থাকা কার্বণ (তেজস্ক্রিয় ও অতেজস্ক্রিয়) পশুপাশি ও মানুষের শরীরে চলে যায়। আবার মাংশাসী প্রাণী খাদ্য হিসাবে বিভিন্ন প্রাণীকে ভক্ষণ করে, সুতরাং এসব প্রাণীর মাধ্যমে মাংশাসী প্রাণীর শরীরেও কার্বন পৌঁছে যায়। জীবন্ত উদ্ভিদ ও প্রাণীদের দেহে কার্বনের এই সরবরাহ এমনভাবে ঘটে, মৃত্যুর সময় প্রতিটি জীবদেহে তেজস্ক্রিয় ও অতেজস্ক্রিয় কার্বনের অনুপাত সর্বদা সমান (১:১) থাকে। মৃত্যুর সময়ে তেজস্ক্রিয় কার্বনের পরমাগুলো তেজস্ক্রিয় রশ্মি বিকিরণ করে ধীরে ধীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হতে থাকে। কিন্তু অতেজস্ক্রিয় কার্বন পরমাণুগুলো নিউক্লিয়াস স্থিতিশীল। তাই মৃতদেহে যুগ যুগ ধরে অতেজস্ক্রিয় কার্বনের প্রতিটি পরমাণু অক্ষুণ্ন থাকে।
গবেষণায় প্রমাণিত ও তেজস্ক্রিয় কার্বনের অর্ধায়ু ৫৭৬০ বছর। অর্থাৎ ৫৭৬০ বছর পর কোনো মৃতদেহ মিশে থাকা তেজস্ক্রিয় কার্বন পরমাণুর সংখ্যা কমে অর্ধেক চলে আসে। মানে অর্ধেক অবশিষ্ট থাকে আরকি।
যেহেতু জীবের মৃত্যুর সময় উভয় কার্বনের অনুপাত সমান (১:১) থাকে, সুতরাং অর্ধায়ুকাল পরে মৃতদেহটিতে তেজস্ক্রিয় ও অতেজস্ক্রিয় কার্বনের অনুপাত হবে ১২ : ১। অনুরূপভাবে মৃতদেহটিতে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ অর্ধায়ুকাল পরে তেজস্ক্রিয় ও অতেজস্ক্রিয় কার্বনের অনুপাত হবে ১৪ : ১, ১৮ : ১ ও ১১৬ : ১।
ধরা যাক, একটি ফসিলে ৫০০টি তেজস্ক্রিয় ও ১০০০টি অতেজস্ক্রিয় কার্বন পরমাণু রয়েছে। তাহলে ফসিলটিতে তেজস্ক্রিয় ও অতেজস্ক্রিয় কার্বনের অনুপাত ১২ : ১। সুতরাং ফসিলটি অর্ধায়ুতে অবস্থান করছে। সুতরাং এর বর্তমান বয়স ৫৭৬০ বছর। ফসিলটিতে যখন তেজস্ক্রিয় ও অতেজস্ক্রিয় কার্বনের অনুপাত ১৪ : ১, ১৫ : ১, ১৮ : ১, ১১০ : ১ ইত্যাদি হবে তখন ফসিলটির বয়স হবে যথাক্রমে ১১৫২০ বছর, ১৩৩৭৭ বছর, ১৭২৮০ বছর, ১৯১৩৮ বছর ইত্যাদি। এভাবে তেজস্ক্রিয় ও অতেজস্ক্রিয় কার্বনের অনুপাত নির্ণয় করে কার্বনের অর্ধায়ু দ্বারা একটি গাণিতিক সমীকরণের সাহায্যে যেকোনো পুরোনো বস্তুর বয়স নির্ণয় করা যায়।
জানা অজানায় গ্রীণ হাউজ ইফেক্ট
গ্রীনহাউজ
ইফেক্ট সম্বন্ধে আমরা সবাই মোটামুটি জানি। এর ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা ধীরে
ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাতাসে কার্বন-ডাই অক্সাইড এর উপস্থিতি এর জন্য দায়ী
সেটাও আমরা সবাই জানি। তবে যে বিষয়গুলো সবাই জানে না সেগুলো অবগত করাই
আজকের লেখাটির উদ্দেশ্য।
কার্বন-ডাইঅক্সাইড ছাড়াও গ্রীনহাউস ইফেক্টের জন্য দায়ী বেশ কিছু গ্যাস
রয়েছে। এগুলো হচ্ছে মিথেন(১৯%), ক্লোরো-ফ্লোরো-কার্বন(১৭%), ওজোন(৮%),
নাইট্রাস অক্সাইড(৪%), জলীয় বাস্প(২%)। বন্ধনীর ভিতরে লেখা সংখ্যাগুলো
দ্বারা গ্রীনহাউজ ইফেক্টের জন্য কোন গ্যাস কতটা দায়ী
শুন্য কি জোড় না বিজোড়?
ছোটকাল থেকে পড়ে এসেছি জোড় সংখ্যা , বেজোড় সংখ্যা । এমন কি শুন্যস্থান
পূরণও করেছি (যেমন ১, ৩, ৫, _ , ৯, _ ,১৩)। বল তো বাবু এখানে কী হবে? এত্ত
সোজা? প্রথমে ৭ আর পরে ১১ হবে। এ তো গেল বেজোড় সংখ্যা। তারপর আসল জোড়
সংখ্যা। সেগুলা হচ্ছে (২, ৪, ৬, ৮, ১০, ......) ইত্যাদি। ধীরে ধীরে বড়
হবার পর হঠাৎ চিনে গেলাম ঋণাত্মক সংখ্যা, মানে মাইনাস ১ ( -১), মাইনাস দুই
(-২) ইত্যাদি। এগুলা নাকি আবার ঋণাত্মক সংখ্যা। মাইনাস ২ কিন্তু আবার জোড়,
মাইনাস ১ আবার বেজোড়। কিন্তু এসব কিছুর মাঝে মানে ঋণাত্মক আর ধনাত্মক এই
দুই ভাইকে যে যুক্ত করে দিল মানে শুন্য, সে কি জোড় না বিজোড়?
জোড় আর বিজোড় - এই দুই ধরনের সংখ্যাকে একটু আলাদা করে দেখি আসলে এরা কী রকম। জোড় সংখ্যাগুলোকে প্রকাশ করা হয় 2N হিসেবে। মানে দুই এবং তার গুণিতক। জোড় সংখ্যাগুলোর শেষ অঙ্ক হয় ২,৪,৬,৮,০। (এইকথাটা নিয়ে শেষে বলছি)। আবার বিজোড় সংখ্যাকে প্রকাশ করা হয় 2N minus 1 এবং শেষ হয় ১,৩,৫,৭,৯ অঙ্কগুলো দিয়ে।
এই প্রশ্নটা প্রথম শুনি গনিত উৎসবে। শুনে তেমন কিছু মনে হয় নি। কারণ সামনে থেকে স্যাররা যাই বলে ঐটা শুনে মনে হত, '' হুম , এইটাই তো হবে। এখানে এতো চিন্তার কী আছে? ''
জোড় আর বিজোড় - এই দুই ধরনের সংখ্যাকে একটু আলাদা করে দেখি আসলে এরা কী রকম। জোড় সংখ্যাগুলোকে প্রকাশ করা হয় 2N হিসেবে। মানে দুই এবং তার গুণিতক। জোড় সংখ্যাগুলোর শেষ অঙ্ক হয় ২,৪,৬,৮,০। (এইকথাটা নিয়ে শেষে বলছি)। আবার বিজোড় সংখ্যাকে প্রকাশ করা হয় 2N minus 1 এবং শেষ হয় ১,৩,৫,৭,৯ অঙ্কগুলো দিয়ে।
এই প্রশ্নটা প্রথম শুনি গনিত উৎসবে। শুনে তেমন কিছু মনে হয় নি। কারণ সামনে থেকে স্যাররা যাই বলে ঐটা শুনে মনে হত, '' হুম , এইটাই তো হবে। এখানে এতো চিন্তার কী আছে? ''
বৈরী পরিবেশে মাছের বেঁচে থাকার পেছনে মূল সহায়ক
একদল বিজ্ঞানী দাবি করছেন যে, আবহাওয়া পরিবর্তন কিংবা সমুদ্রের বিষাক্ত
পানিতে মাছেদের টিকে থাকার পেছনে যে রহস্য তা তারা উদঘাটন করতে পেরেছেন।
তাদের মতে, মাছেদের বিবর্তনীয় সাফল্য এবং বৈরী পরিবেশে তাদের খাপখাওয়ানোর
ক্ষমতার প্রধান উৎস হলো “হিমোগ্লোবিন” নামক এক অণু। হিমোগ্লোবিন হলো
একধরনের বাহক, যা মানুষসহ বিভিন্ন প্রানির মস্তিষ্ক, পেশিসহ অন্যান্য অঙ্গে
অক্সিজেন পরিবহন করে।
বিখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকী “সায়েন্স” তাদের সর্বশেষ সংস্করণে এমনি এক উদ্ভাবনের কথা প্রকাশ করেছে, যা আবিষ্কার করেছেন ARC Centre of Excellence for Coral Reef Studies এর ড.জডি রুমার এবং তার ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকর্মীরা। ড. জডি তার কথায় বলেন, “৪০ কোটি বছর আগে সমুদ্র এখনকার মত ছিল না। তখন সমুদ্রের পানিতে অক্সিজেনের পরিমান ছিল কম ও কার্বন ডাইঅক্সাইড ছিল বেশি,ফলে তখন পানি ছিল অম্লীয়(acidic)।”
ধূমকেতু বিজ্ঞানীদের দিয়ে গেছে সূর্যের অনেক মূল্যবান তথ্য।
বছর তিনেক কিংবা একটু বেশি আগের, একটি ধূমকেতু বিজ্ঞানীদের দিয়ে গেছেন অনেক মূল্যবান
তথ্য। সেই ধূমকেতু সম্পর্কে পড়াশোনা করতে করতে আস্তে আস্তে অনেক তথ্যই
বেরিয়ে আসছে। একটি ধূমকেতু সূর্যের মুখোমুখি হওয়ার ফলে সূর্যের একটি
এলাকা সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের নতুন ধারণা দিয়েছে যেখান দিয়ে কোন
স্পেস্ক্রাফট কখনো যায় নি।
২০১১ সালে ধূমকেতু "লাভজয়" প্রচণ্ড বেগে সূর্যের একটি এলাকা করোনার(Corona) দিকে ধাবিত হয়।
টেলিস্কোপ দিয়ে তোলা ছবিতে দেখা গেছে ধূমকেতুর লেজ কিভাবে একটি শক্তিশালী চুম্বক ক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত হয়। তাতে কি কি প্রভাব রাখে। কিভাবে আকর্ষিত হয়। বিজ্ঞানীরা এরকম আকর্ষণ ধর্ম প্রথম আবিষ্কার করলেন। ক্যালিফোর্নিয়ার লকহিড মারটিন এডভান্স টেকনোলজি সেন্টারের Dr Karel Schrijver বলেন
২০১১ সালে ধূমকেতু "লাভজয়" প্রচণ্ড বেগে সূর্যের একটি এলাকা করোনার(Corona) দিকে ধাবিত হয়।
টেলিস্কোপ দিয়ে তোলা ছবিতে দেখা গেছে ধূমকেতুর লেজ কিভাবে একটি শক্তিশালী চুম্বক ক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত হয়। তাতে কি কি প্রভাব রাখে। কিভাবে আকর্ষিত হয়। বিজ্ঞানীরা এরকম আকর্ষণ ধর্ম প্রথম আবিষ্কার করলেন। ক্যালিফোর্নিয়ার লকহিড মারটিন এডভান্স টেকনোলজি সেন্টারের Dr Karel Schrijver বলেন
আবহাওয়ায় বিপদ সংকেতের এর অর্থ
১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত :- এর অর্থ বঙ্গোপসাগরের কোন একটা অঞ্চলে
ঝড়ো হাওয়া বইছে এবং সেখানে ঝড় সৃষ্টি হতে পারে৷(একটি লাল পতাকা )
২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত :- সমুদ্রে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছে৷
৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত :- এর অর্থ বন্দর দমকা হাওয়ার সম্মুখীন ৷(দুইটি লাল পতাকা)
৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত :- এর অর্থ বন্দর ঝড়ের সম্মুখীন হচ্ছে, তবে
বিপদের আশঙ্কা এমন নয় যে চরম নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে৷
৫ নম্বর বিপদ সংকেত :- এর অর্থ হচ্ছে অল্প বা মাঝারী ধরনের ঘূর্ণিঝড়ের
কারণে বন্দরের আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকবে এবং ঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দরের
দক্ষিণ দিক দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে (মংলা বন্দরের বেলায় পূর্ব দিক
দিয়ে)৷
৬ নম্বর বিপদ সংকেত :- এর অর্থ হচ্ছে অল্প বা মাঝারী
ধরনের ঝড় হবে এবং আবহাওয়া দুযোগপূর্ণ থাকবে৷ ঝড়টি
How does solar energy work?
The solar panel absorbed light from the sun during day. It take power from the sun which is really extensively a vast and inexhaustible resource. This system once is in place to convert it into useful energy, the fuel is free and will never be subject to the ups and downs of energy markets. Furthermore, it represents a clean alternative to the fossil fuels that currently pollute our air and water, threaten our public health, and contribute to global warming. Given the abundance and
WiMAX Technology-a hilarious invention
WiMAX,stands for Worldwide Interoperability for Microwave Access,is a wireless telecommunications protocol, providing wireless data over long distances in a variety of transmission modes, from point-to-point and point-to-multipoint links to portable and full mobile cellular type access based on IEEE 802.16.The another name of WiMAX is wireless man.And this is the hilarious inventions of this century.To fulfill the demand of IEEE 802.16 ,this name was given by WiMAX Forum at 2001.WiMAX is a alternate communication way such as cable or DSL which delivery data at last point as a wireless broadband by this hilarious invention. At present, there have been some limitations such as by dial up line the transmission becomes slower, also impossible to connect on pick
Keep yourself with best internet security
Some malicious programmers automatically gather random e-mail
addresses put in public from the internet if you want to best internet
security .The best internet security, it uses modules like a password
generator that keeps trying words from dictionaries, commonly used
sequences of numbers etc. to take over mail accounts. Once it
infiltrates an account, it enlists all e-mails stored in its address
book and further spams them with advertisements or sends a phishing trap
for best internet security. It may be that you had filled out a form
inadvertently on the internet with her e-mail that was sold to marketing
companies for viral marketing, a technique to promote products, bombard
e-mails with malwares or petitions asking to deposit money, declaring
(fake) prize winners and eventually asking for money etc for the best
internet security.
Smart glasses will help blind people to see
The smart glasses will work using a pair of cameras. These cameras will determine the distance of objects and we simply
Smart future technology – virtual touch of real objects
Let’s think about a smart future technology. Lets think about a future where you are shopping just by sitting in your home. You are checking cloths, their fabrics texture just sitting in your home. You are checking them just by using a smart future technology, just only by your mobile phone.
Every year IBM make a prediction about 5 future technologies what will change our life style only in five years. This is called 5*5 article. This year
রসুনের ৩০ টি স্বাস্থ্য উপকার
জেনে নিন, রসুনের ৩০ টি স্বাস্থ্য উপকার
--------------- -------
রসুন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে রান্নার বেশ
উপকারী একটি অংশ। মাংস রান্না করা থেকে শুরু
করে সবজি ভাজি কিংবা ভর্তা তৈরিতে রসুনের
চাহিদা অনেক বেশি। আমাদের দেহে রসুন স্বাস্থ্য
উপকারিতা নিয়ে দেশ-বিদেশে অনেক গবেষণা করা হয়েছে ।
এবং বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় রসুন ব্যাবহারের অনেক
স্বাস্থ্য উপকারিতা। আজকে চলুন তাহলে জেনে নিই রসুনের
স্বাস্থ্য উপকারিতা
---------------
রসুন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে রান্নার বেশ
উপকারী একটি অংশ। মাংস রান্না করা থেকে শুরু
করে সবজি ভাজি কিংবা ভর্তা তৈরিতে রসুনের
চাহিদা অনেক বেশি। আমাদের দেহে রসুন স্বাস্থ্য
উপকারিতা নিয়ে দেশ-বিদেশে অনেক গবেষণা করা হয়েছে ।
এবং বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় রসুন ব্যাবহারের অনেক
স্বাস্থ্য উপকারিতা। আজকে চলুন তাহলে জেনে নিই রসুনের
স্বাস্থ্য উপকারিতা
আসুন মিলেমিশে ভাগাভাগি করে খাই
একটি পুরোনো কৌতুক দিয়ে শুরু করি। একটি রেস্টুরেন্টে ভীষন ভীড় হওয়ায় একই টেবিলে দুজন মানুষ খেতে বসেছেন। ওয়েটার আসা মাত্রই উভয়েই মাছের অর্ডার করলেন। ওয়েটার দুটি প্লেটে করে দুটি মাছ নিয়ে এলেন এবং টেবিলে রাখলেন।বলা বাহুল্য মাছ দুটির আকৃতি একেবার সমান ছিলো না। এই সময় টেবিলে বসা দু’জনের একজন অনেকটা অবচেতনেই বড় মাছের প্লেটটি নিজের দিকে টেনে নিলেন। এই দেখে অপরজন বেজায় অসন্তুষ্ট হলেন। তিনি চটে গিয়ে অপরজনকে শুধালেন এ কেমন আচরণ ভাই? ভদ্রতা বলতে কি কিছুই জানেন না? অভদ্রের মতো বড় মাছটি নিয়ে নিলেন যে? প্রথম ব্যক্তি তখন বললেন, আপনি হলে কোনটি নিতেন? দ্বিতীয় ব্যক্তি
নন-কোডিং ডিএনএ রহস্য
একসময় ভাবা হত মানব জেনোমের ৯৮% কোন কাজের না, মানে ফালতু মাল (junk
DNA or junk element)। এই ৯৮ সংখ্যা টা এসেছে ডিএনএ’র যেই অংশ প্রোটিন তৈরি
করতে পারেনা তার পরিমান থেকে। আমরা যদি সম্পূর্ণ ডিএনএ কে একটা বড় সুতার
মত ধরি, তবে সুতার কিছু অংশ থেকে প্রোটিন তৈরি হবে আর বেশিরভাগ অংশ থেকে
হবেনা। ডিএনএ’র যেই অংশ প্রোটিন তৈরি করে তাকে বলে জিন, বা প্রোটিন কোডিং
ডিএনএ। এই অংশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারন প্রোটিন তৈরি না হলে কিছুই করতে
পারতোনা কোন জীব, এমনকি একটি কোষ। তাহলে মানুষের এই ৯৮% নন-কোডিং ডিএনএ’র
কি কোন কাজ নাই?
বৈদ্যুতিক ব্যাক্টেরিয়া
আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে তাই নিয়ে আমাদের পরিবেশ। এই পরিবেশে কিছু
জিনিস হল জীব, যাদের জীবন আছে। আর কিছু জিনিস জড়, যাদের জীবন নেই। জীবের
মধ্যে কিছু আছে যাদের আমরা খালি চোখে দেখি, যেমনঃ আমাদের বাবা-মা,
ভাই-বন্ধু, দেয়ালের পোকা,পাশের বাসার বিড়াল, পথের কুকুর ইত্যাদি। আবার কোন
কোন জীব আছে যাদের খালি চোখে সবসময় দেখিনা, যেমনঃ স্টোর রুমের ইদুর, বইয়ের
সেলফের তেলাপোকা ইত্যাদি- কিন্ত মাঝে মাঝে এদের সাথে দেখা হয়ে যায়!
তবে কিছু জীব আছে যাদের আসলেই খালি চোখে দেখা অসম্ভব, কিন্তু তারা চোখের সামনেই থাকে। আপনার হাতে,পায়ে, পেটের ভিতরে, সারা ঘরে, সব জায়গাতেই
তবে কিছু জীব আছে যাদের আসলেই খালি চোখে দেখা অসম্ভব, কিন্তু তারা চোখের সামনেই থাকে। আপনার হাতে,পায়ে, পেটের ভিতরে, সারা ঘরে, সব জায়গাতেই
গণিতের মজা
গণিত শুধু বুদ্ধি আর চোখের ব্যপার নয় মজারও
১। “আপনারা বেশি বেশি করে নিজ নিজ জন্মদিন
উদযাপন করুন, কারণ এটি প্রমাণিত যে জন্মদিন উদযাপনের সাথে দীর্ঘ জীবনের
নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, যে সব মানুষ সবচেয়ে বেশি
জন্মদিন পালন করেন, তারাই সবচেয়ে বেশি বছর বেঁচে থাকেন।”—পরিসংখ্যান
বিষয়ে জনৈক ছাত্রের পিএইচডি গবেষণার ফল।
২। “পৃথিবীতে যত গাড়ি চোর আছে, তাদের ১০ শতাংশ বামহাতি।
আবার পৃথিবীর সব মেরু ভল্লুকই বামহাতি। সুতরাং আপনার গাড়ি চুরি হলে,
শতকরা ১০ ভাগ সম্ভাবনা এটি কোনো মেরু ভল্লুকের কাজ।”—পরিসংখ্যানের আরেকটি
গবেষণার ফল।
৩। “পরিসংখ্যান কতই না বিস্ময়কর কাজের!”
“কীভাবে জানো?”
“আচ্ছা, শোন তাহলে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পৃথিবীতে প্রতি বছর কুমিররা ৪ কোটি ২০ লাখ ডিম পাড়ে। এদের মধ্যে কেবল ২ ভাগের ১ ভাগ ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। এসব বাচ্চার ৪ ভাগের ৩ ভাগই আবার জন্মের প্রথম ৩৬ দিনে শিকারী প্রাণীর হাতে মারা পড়ে। বাকিগুলির মধ্যে শতকরা ৫ ভাগ কেবল এক বছর বেঁচে থাকে। এবার নিশ্চয়ই স্বীকার করবে, পরিসংখ্যান কতই না বিস্ময়কর।”
“কীভাবে জানো?”
“আচ্ছা, শোন তাহলে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পৃথিবীতে প্রতি বছর কুমিররা ৪ কোটি ২০ লাখ ডিম পাড়ে। এদের মধ্যে কেবল ২ ভাগের ১ ভাগ ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। এসব বাচ্চার ৪ ভাগের ৩ ভাগই আবার জন্মের প্রথম ৩৬ দিনে শিকারী প্রাণীর হাতে মারা পড়ে। বাকিগুলির মধ্যে শতকরা ৫ ভাগ কেবল এক বছর বেঁচে থাকে। এবার নিশ্চয়ই স্বীকার করবে, পরিসংখ্যান কতই না বিস্ময়কর।”
আশ্চর্য একটি সংখ্যা ১৪২৮৫৭
এর আগে একটি মজার গণিত উপস্থাপন করেছি
আপনাদের সামনে। সেই ধারাবাহিকতায় আজ আবার আর একটি আশ্চর্য সংখ্যা নিয়ে
হাজির হলাম। সংখ্যাটি হচ্ছে ১৪২৮৫৭। এই সংখ্যাটির রয়েছে আশ্চর্য কিছু
বৈশিষ্ট। সেগুলো আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেস্টা করছি।
বৈশিষ্ট একঃ
142857×1 = 142857
142857×2 = 285714
142857×3 = 428571
142857×4 = 571428
142857×5 = 714285
142857×6 = 857142
দেখেন প্রতিটি গুণফলেই কিন্তু 1,4,2,8,5,7 অংকগুলি বারবার সিরিয়াল অনুযায়ী চক্রাকারে
২২/৭ পাই-এর চেয়ে বড় তার প্রমাণ
মূলদ সংখ্যা ২২⁄৭ যে π -এর চেয়ে বড়
এই বিখ্যাত গাণিতিক ফলাফলটির বিভিন্ন প্রমাণ প্রাচীনকালেই বের হয়ে
গিয়েছিল। নীচে ক্যালকুলাসের কিছু প্রাথমিক ধারণা কাজে লাগিয়ে এটির একটি
আধুনিক প্রমাণ দেয়া হল। অন্যান্য মৌলিক প্রমাণের চেয়ে এই
ক্যালকুলাস-ভিত্তিক প্রমাণটি অনেক সোজা-সাপ্টা।; দিওফান্তুসীয় আসন্নীকরণ
তত্ত্বের সঙ্গে এর সম্পর্ক থাকায় এটি গাণিতিকভাবে সুন্দর (elegant)।
স্টিভেন লুকাস এই প্রমাণটিকে “One of the more beautiful results
e কেন লগারিদমের ভিত্তি হল?
আমরা সবাই মোটামুটি ১০ ভিত্তিক লগারিদমের সাথে পরিচিত। ভিত্তি হিসাবে ১০
কে আমাদের কাছে স্বাভাবিক মনে হয়, কারণ আমরা ১০ ভিত্তিক গণনায় অভ্যস্ত।
তাই আমরা একটু অবাক হই লগের ভিত্তি হিসেবে e (এটি একটি অমূলদ সংখ্যা যার
মান ২.৭১৮২৮১৮২৮৪……) কে দেখে আর আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে এই e আসলো কোথা
থেকে আর কেনইবা গণিতবিদদের কাছে এই e কে ১০ এর চেয়েও বেশি ভাল মনে হয় ?
যদি আমরা ১০ ভিত্তিক লগ অর্থাৎ y=log_১০ (x) এর লেখ আঁকি এবং অত্যন্ত
সতর্কতার সাথে (১,০) বিন্দুতে অংকিত স্পর্শকের ঢাল হিসাব
স্ট্রিং তত্ত্ব
, অবিভাজ্য
কণা দ্বারা গঠিত। অর্থাৎ যেকোনো পদার্থকে ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে সর্বশেষ যে
অবস্থা পাওয়া সম্ভব তাই পরমানু। কিন্তু বর্তমানে আমাদের ভাঙ্গার
দৌড় পরমানু পর্যন্ত আটকে থেকে নেই। পরমানুকে ভেঙ্গে আমরা এর ভেতর থেকে বের
করে এনেছি ইলেক্ট্রন, নিউক্লি (Nuclei)। শুধু তাই নয়, বিজ্ঞানীরা
ইলেক্ট্রন, নিউক্লিকেও ভেঙ্গে ফেলতে সক্ষম হয়েছেন এবং আবিষ্কার করেছেন আরও
অসংখ্য অতিপারমানবিক কণার (Subatomic Particle)
অস্তিত্ব
শক্তি
পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায় শক্তি বলতে কাজ করার
সামর্থ্যকে বুঝায়। কাজ বা কার্য হচ্ছে বল (force) ও বলাভিমুখী সরণের
(displacement) গুণফল। কৃতকাজের পরিমাণ দিয়েই শক্তি পরিমাপ করা হয়।
অর্থাৎ বস্তুর শক্তি হচ্ছে ঐ বস্তু মোট যতখানি কাজ করতে পারে। সুতরাং কাজের
একক ও শক্তির একক অভিন্ন – জুল। ১ জুল = ১ নিউটন x ১ মিটার। শক্তি একটি
স্কেলার রাশি।
শক্তির রূপ
শক্তির বিভিন্ন রূপ আছে। মোটামুটিভাবে শক্তির নয়টি রূপ দিয়ে প্রাকৃতিক সব ঘটনার ব্যাখ্যা দেয়া হয়। শক্তির রূপগুলি হলঃ- যান্ত্রিক শক্তি
- আলোক শক্তি
- শব্দ শক্তি
- তাপ শক্তি
ইলেক্ট্রন প্রোটনের গতিশীলতা – পার্টিকেল এক্সেলারেটর
পদার্থ বিজ্ঞানের গবেষণার স্তর অনেক
সূক্ষ্ম স্তরে এসে পৌঁচেছে। বিজ্ঞানীদের গবেষণার বিষয়বস্তু এখন অণু
পরমাণুতে সীমাবদ্ধ নেই। অণু পরমাণু গঠনকারী উপাদান নিয়ে এখন কাজ চলছে। এ
ধরনের উপাদানকে বলা হয় সাব এটমিক কণা। এ ধরনের সূক্ষ্মতর কণা নিয়ে
পরীক্ষা চালাতে বিশাল বিশাল যন্ত্রপাতি কাজে লাগানো হচ্ছে। উদাহরণ স্বরূপ,
বাবল চেম্বার, পার্টিকেল এক্সিলারেটর-এর নাম বলা যেতে পারে। এখানে পার্টিকল
এক্সিলারেটর সম্পর্কে ধারণা দেবার চেষ্টা করা হলো।
পার্টিকল
এক্সিলারেটর এক ধরনের ডিভাইস। দ্রুত গতিসম্পন্ন বিম, চার্জিত এটমিক বা সাব
এটমিক কণা প্রস্তুতসহ অন্যান্য গবেষণা উপলক্ষ্যে এদের ব্যবহার করা হয়।
পরমাণুর নিউক্লিয়াসের গঠন, নিউক্লিয়াসে ক্রিয়াশীল বলের ধরণ, বিশেষ কিছু
পরমাণুর (ইউরেনিয়াম পরবর্তী ভারী ধাতু) গঠন আবিষ্কারে পার্টিকল
ছয়টি বিশেষ সংখ্যা নিয়ন্ত্রন করছে আমাদের মহাবিশ্ব
আমাদের মহাবিশ্ব নিয়ন্ত্রিত হয় মাত্র
ছয়টি সংখ্যা দিয়ে যেগুলো বিন্যস্ত হয়েছে বিগ ব্যাংগের সময়কালে। সেগুলোর
যেকোন একটিও ব্যতিক্রম ঘটলে কোন গ্রহ, নক্ষত্র এবং মানব জাতির অস্তিত্ব ই
থাকতো না।
– বিশিষ্ট জ্যোতির্বিদ স্যার মারটিন রিজ।
আমাদের দৈনন্দিন পৃথিবীর সকল রসায়ন এবং
অস্তিত্ব মূলত নির্ধারণ হয় অনু(এটম)র ধর্ম, তাদের আকার এবং ভর, তাদের ধরন,
বিভাজন এবং সেই অমোঘ বলের দ্বারাই যা তাদের একত্রিত করে রাখছে । এটম বা
অনুর অস্তিত্বের মূলে আছে তার অভ্যন্তরীণ বল এবং নানাবিধ কণা।
আবার গ্রহ, নক্ষত্র গ্যালাক্সি বা ছায়াপথ
এসবের সবই নিয়ন্ত্রিত হয় মধ্যকর্ষন শক্তি বা বলের মাধ্যমেই এবং
জ্যোতির্বীদদের গবেষনার মূল বিষয়সমূহ অর্থাৎ গ্রহ, নক্ষত্র গ্যালাক্সি বা
ছায়াপথ।
তাত্ত্বিক গণ ও
রসায়ন নিয়ে কিছু মজার ম্যাজিক
রসায়ন নিয়ে মজার অনেক কাজ করা যায়
যেগুলোকে অনেকে ম্যাজিকও বলে। শিরোনাম দেখেই বোঝা যাচ্ছে এই পোষ্ট রসায়নরে
কিছু মজার বিষয় নিয়ে । খেলাগুলো ছোট ছোট হলেও আর্শ্চযজনক। ম্যাজিকের
বিষয় গুলি হল
- ১)বিলীয়মান রঙ
- ২)জলের মধ্যে শুস্কতা
- ৩)অন্ধকারে আলোক বিকিরণ
- ৪)জলের মধ্যে আগুন জ্বলা
বিলীয়মান রঙঃ
ফেনপথালিন (C20H14O4)
জলে মিশিয়ে এর মধ্যে লিকার এমোনিয়াম ফোর্ট বা চুনের জলের দ্রবণ যোগ করলে
তা থেকে এই আশ্চর্য রঙের সৃষ্টি
বিজ্ঞানের রাজ্যে একজন উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক স্যার আইজাক নিউটন।
বিজ্ঞানের রাজ্যে একজন উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক স্যার আইজাক নিউটন।
অন্যতম অবদানসমূহ:
নিউটনের গতিসূত্র-
খ. বাইরে থেকে প্রযুক্ত বল দ্বারা অবস্থার পরিবর্তন করতে বাধ্য না করলে অচল বস্তু চিরকাল অচল অবস্থাতেই থাকবে এবং সচল বস্তু চিরকাল সমবেগে সরলরেখা ধরে চলতে থাকবে।
গ. প্রতিটি ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
নিউটনের অভিকর্ষ তত্ত্ব-
অন্যতম অবদানসমূহ:
নিউটনের গতিসূত্র-
ক. বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার বস্তুটির উপর প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক এবং বল যেদিকে প্রযুক্ত হয় ভরবেগের পরিবর্তনও সেদিকে ঘটে।
খ. বাইরে থেকে প্রযুক্ত বল দ্বারা অবস্থার পরিবর্তন করতে বাধ্য না করলে অচল বস্তু চিরকাল অচল অবস্থাতেই থাকবে এবং সচল বস্তু চিরকাল সমবেগে সরলরেখা ধরে চলতে থাকবে।
গ. প্রতিটি ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
বিশ্বজগতে সমস্ত বস্তুই বল দ্বারা পরস্পরকে আকর্ষণ করে। এই আকর্ষণ বল বস্তু দুটোর ভরের সমানুপাতিক এবং বস্তুদ্বয়ের মধ্যে দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক।
বিজ্ঞানের প্রায় প্রতিটি শাখায় তিনি
গবেষণা করে গেছেন। বলা
বিজ্ঞানীদের জীবনী- বিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডে
মাইকেল ফ্যারাডে
MICHAEL FARADAY
[১৭৯১-১৮৬৭]
MICHAEL FARADAY
[১৭৯১-১৮৬৭]
আমাদের নিকট একজন শিক্ষণীয় বিজ্ঞান
ব্যক্তিত্ব যিনি বিজ্ঞানের ইতিহাসে একজন বিস্ময়কর বিজ্ঞান প্রতিভা। প্রায়
দুইশতক আগে তাঁর আবিষ্কার আমাদের প্রতিদিনের জীবনে এক বড় পরিবর্তন এনেছে।
যেমন তাঁর আবিষ্কৃত আলোকের উপর চৌম্বকত্বের প্রভাব (ব্যবহারিক ক্ষেত্রে
বিদ্যুতের প্রয়োগ)। তিনি একজন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী, মাইকেল ফ্যারাডে। অথচ
ভাবলে অবাক হতে হয় এই মনীষীর জন্ম একটি দরিদ্র পরিবারে। তাঁর না ছিল তেমন
শিক্ষাগত যোগ্যতা, না ছিল পারিবারিক স্বীকৃতি। বিজ্ঞানের বিশেষ শাখার উপর
তাঁর অদম্য জ্ঞান-পিপাসা ও স্পৃহা থেকে ঘটে বিশাল
হ্যাক হলেও ফিরে পাবেন ফেসবুক একাউন্ট
২০০৪ সালে শুরু হওয়া ফেসবুক নামক সামাজিক যোগাযোগ সাইটের সাথে নিশ্চয়ই কাউকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে হবেনা। কম বেশি সবারই সেখানে একাউন্ট থাকার সুবাদে সুখকর অভিজ্ঞতার পাশাপাশি কষ্টকর অভিজ্ঞতাটাও অনেকেরই থাকার কথা। আজকে কষ্টকর দিকটি নিয়ে আগাবো এবং এর একটি সমাধানের চেষ্টা করবো।
বাংলাদেশে জনপ্রিয় হওয়া ফেসবুকে কম বেশি অনেকেরই একাউন্ট কোননা কোন ভাবে হ্যাক হয়ে থাকতে পারে। দেখা গেছে কোন একটি স্ক্যাম কিংবা এপ্সের কবলে পড়লেন। অথবা কোন ভাবে আপনার সিকিউরিটি ব্যবস্থা দূর্বল থাকায় ইমেইল হ্যাক হয়ে কিংবা সরাসরি হ্যাক হয়ে ফেসবুক একাউন্টটি হ্যাক হয়ে গেল। এবং হ্যাকার আপনার ব্যবহৃত পাশওয়ার্ড টিও পরিবর্তন করে ফেললো। এখন কি করবেন??
শুধু মাত্র ফান করার জন্য হলে একাউন্টের চিন্তাটা না করলেও চলে. কিন্তু লক্ষনীয় যে, আজ কাল সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম একটি মাধ্যম নয় আরো নানাবিধ ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক কাজেও ফেসবুক ব্যবহৃত হয়। তখন তো আপনাকে এই আইডি রিকভার করতেই হবে। আইডি রিকভার করার নান উপায় আছে, তার মধ্যে আজকের উপায়টি পরিবেশিত হলঃ
হ্যাককৃত ফেসবুক
রোবট সাপ, আবিষ্কারের নতুন চমক !
পোস্ট এর টাইটেল দেখে কি অবাক হচ্ছেন? হ্যা অবাক হবারি কথা, কিন্তু এটাই সত্য। এবার বিজ্ঞান আবিষ্কার করলো রোবট সাপ। বিশিষ্ট মার্কিন শিল্পী ও ডিজাইনার গ্যাব্রিয়ালা লিভাইন কিছুদিন আগে শেষ হওয়া ‘উন্নয়নের জন্য প্রযুক্তি’ শীর্ষক সম্মেলনে এ রোবট সাপটি প্রদর্শন করেন। আসল সাপের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই সাপটি ডিজাইন করা হয়েছে। এই সাপ ঠিক প্রাকিতিক সাপের মতোই চলাফেরা করবে, সমুদ্রের তলদেশ, মরুভূমি, পাহাড়সহ দুর্গম ধ্বংসস্তূপে অনায়াসেই যেতে পারবে। রোবট সাপটি তৈরির আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে জনকল্যাণ করার জন্য।
প্রোগ্রামিং ইন সি ক্লাসরুমঃ পর্ব ২– সঠিক উপায়ে turbo c ইন্সটলেশন
প্রোগ্রামিং ইন সি বিষয়ক প্রথম পোস্ট “প্রোগ্রামিং ইন সি ক্লাসরুমঃ পর্ব ১ – প্রাথমিক আলোচনা” তে প্রোগ্রামিং সি সম্পর্কিত সাধারণ ধারণা এবং কম্পাইলার সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়েছিল। এবং বেসিক টারবো সি কম্পাইলারটি সংগ্রহ করার পদ্ধতি দেখানো হয়েছিল। আজ আমরা turbo c কিভাবে কম্পিউটারে ইন্সটল করতে হয় তা দেখব। কারণ অনেকেই প্রথমে সি প্রোগ্রাম শেখার শুরুতে কম্পাইলার ইন্সটল করতে বেশ সমস্যায় পরেন। আর এ ধরণের সমস্যা শেখার আগ্রহ নষ্ট করে দিতে পারে,
প্রোগ্রামিং ইন সি ক্লাসরুমঃ পর্ব ১ – প্রাথমিক আলোচনা
আমাদের সকলের কাছেই প্রোগ্রামিং সি খুবই পরিচিত এবং জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। কথায় আছে সি না জানলে নাকি প্রকৃত প্রোগ্রামার হওয়া যায় না।বেশ কয়েক বছর আগে সি শিখেছিলাম, শখের বশে নয় বরং পরীক্ষায় মার্ক তোলার জন্য হঠাৎ ইচ্ছা হল এবার এটাকে নিজের আগ্রহ থেকে শেখা যাক।আমার বিশ্বাস আমার সাথে হয়তবা আপনারাও থাকবেন। আসলে নিজের ইচ্ছাটা কথা না বললে কোন কিছুই ভালভাবে শেখা হয় না । আমার ইচ্ছাটা অনেক বছর পর কথা বলতে শুরু করেছে।দেখা যাক আমার আর আপনাদের ইচ্ছাটাও একসাথে চলতে পারে কিনা।
প্রোগ্রামিং সি সম্পর্কে কিছু কথা
1972 সালের দিকে প্রোগ্রামিং সি এর উদ্ভব হয়। বেল ল্যাবরেটরিতে ডেনিস রিচি প্রোগ্রামিং সি উদ্ভাবন করেন। প্রোগ্রামিং সি একটি মিড লেভেল প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। আর এজন্যই প্রোগ্রামিং সি দ্বারা যেমন হাই লেভেল প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের মত বিভিন্ন ধরণের ডাটা, ভেরিয়েবল এবং
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিস্তারে ব্লগিং সংবাদপত্র এবং পাঠ্যপুস্তকের চেয়ে ভাল
বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি চর্চা
একটি দেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন শুধুমাত্র প্রযুক্তি পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি করা নয় বরং প্রযুক্তির কলাকৌশল সম্পর্কে সকলকে জানানো, নতুন নতুন কলাকৌশল উদ্ভাবন অথবা উদ্ভাবনের চেষ্টা করাটাই এখানে মুখ্য। আমাদের দেশে যে এ ধরণের কার্যক্রম যে পরিচালিত হচ্ছে না, তা কিন্তু নয়। ধানের তুষ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন, আবর্জনা থেকে জৈব্যসার তৈরি, বিদ্যুৎ উৎপাদনে খালের পানির স্রোতকে কাজে লাগানোর মত ছোট ছোট সম্ভাবনাময় খবর প্রায়ই আমাদেরকে সাময়িক ভাবে উৎসায়িত করে তোলে কিন্তু নিমেষেই তা হারিয়ে যায়। অনেকেই
বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি চর্চা
নিয়মিত হাটুঁন অতঃপর সুস্থ্ থাকুন!
বিসমিল্লাহির রহমানীর রাহীম।
আশা করি সবাই মহান আল্লাহর অশেষ রহমত ও করুণায় ভালোই আছেন। আল্লাহর রহমতে আমিও ভালো আছি। তবে আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ভালো নেই। কেননা কারো কারো রয়েছে নানান জটিল সমস্যাবলি। যেমন ধরুন কেউ ভুগছে শারিরীক সমস্যায় আবার কেউ বা মানসিক সমস্যায়। তবে সমসা যাই হউক সেটা তো সমস্যাই তাই নাহ? আর আমার মতে কখনো কোন সমস্যা নিজ দ্বায়িত্বে পুষে রাখা উচিত নয়। কেননা হয়তবা সেই সমস্যাই একদিন আপনার সামনে অনেক বড় রূপ নিয়ে হাজির হতে পারে? যাই হউক বরাবরের মতো স্বাস্থ্য নিয়ে লিখতে লিখতে আজও তার ব্যতিক্রম করলাম না। সব ঝামেলা আর ভোগান্তি পেরিয়ে অবশেষে আপনাদের জন্য লিখতে বসে গেলাম আরেকটা সচেতনামূলক ব্লগ পোষ্ট। আমি আজ যে বিষয় নিয়ে লিখছে বসেছি তার শিরনাম দেখে আপনারা যে আগেই বুঝে গেছেন সেটা আমি অনেক আগেই টের পেয়েছি
তো এবার আসুন আমার ভাষণ শেষ করে এইবার কাজের কথায় আসি কেমন
যেভাবে ইন্টারনেটে আনন্দ নিতে পারেন
আপনার কি মনে হয় যে আপনি সবকিছু করে ফেলেছেন? আর খুব বিরক্ত বা ক্লান্ত হয়ে এই আর্টিকেলটি পড়ছেন? আচ্ছা, এই হল কিছু জিনিস যা আপনি ইন্টারনেটে করতে পারেন যখন ক্লান্তি বোধ করে থাকেন। বিষয়গুলি যাচাই করে দেখতে পারেন ইন্টারনেটের মজাদার দিকগুলো আবিষ্কার করতে।
১। ইন্টারনেট ব্রাউজারটি খুলুন। ফায়ারফক্স, গুগল ক্রোম, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার, সাফারি যাই ব্যবহার করুন না কেন, সেটা ওপেন
জানার মাঝে অজানা কিছু মজার তথ্য,জানতে দোষ কি !!! [মিলিয়ে নিন কি জানেন আপনি]
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
আজ আপনাদের সাথে কিছু মজার তথ্য শেয়ার করতে বসলাম । এখানে অনেক মজার তথ্য আছে যা আপনি জানেন না ।তাই সময় থাকলে একবার পড়ে নিতে পারেন । চলুন তাহলে শুরু করি ।আমার প্যাচাল না শুনে এবার তথ্যগুলো জেনে নেওয়া যাক ।
১। কি-বোর্ডের একটি সারির অক্ষরগুলো ব্যবহার করে লেখা সবচাইতে বড় শব্দ কি হতে পারে ? আপনাদের চিন্তা করতে হবে না । আর চিন্তা করে বের করাটাও এত সহজ না ! আমিও বের করতে পারি নি । কি-বোর্ডের যেকোন এক সারির অক্ষরগুলো ব্যবহার করে লেখা সবচাইতে বড় শব্দ TYPEWRITER ।
২ ।অজ্ঞান হয়ে উল্টে পড়ার সময় পিপঁড়ারা সবসময় তাদের ডান দিকে পড়ে। কাজেই কোন পিপঁড়াকে যদি বাম দিকে উল্টে থাকতে দেখেন, তাহলে বুঝে নিবেন পিপড়াটি নিশ্চয়ই স্কুল ফাঁকি দেবার জন্য অজ্ঞান হবার অভিনয় করছে।
৩ । সবচেয়ে জোরে শব্দ করে কোন প্রানী ? আপনার উত্তরটা আমিই দেই । আপনি বলবেন “মেয়েরা” । কেননা মেয়েদের ওই কর্কশ গলার চিল্লানি যেকোন প্রানীর সাথে প্রতিযোগিতা করবার জন্য যথেষ্ট । কিন্তু বিজ্ঞান বলছে অন্যকথা । নীল তিমি প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে জোরে শব্দ করতে পারে। পরস্পর ভাববিনিময়ের সময় ওরা যে শিস দেয়, সেটা ৫৩০ মাইল দূর থেকেও শোনা
বাস থেকে লাফ কি সামনে দিবেন? না পিছনে?
আমাদের বাসে চড়ার অভিজ্ঞতা বেশ জোরালো। ১, ২, ৬, ১০ নম্বর সহ যে কত রুটের বাসে যে আমরা প্রতিদিন চড়ি। তাই সকলেই জানি যে বাস থেকে নামতে হয় কিভাবে। এমনকি বাসের নিরক্ষর কন্ডাক্টর ও নামার সময় বলে সাবধান করে দেয়। যারা পদার্থবিজ্ঞান একটু আধটু পড়েছেন আমার মত তারা সকলেই জানেন যে ব্যাপারটা ঘটে কি প্রক্রিয়ায়। আমিও কলেজে ফাঁকি দিয়ে পড়েছি বেশিদিন হয়নি। ঘটনার সত্যিকারের তাৎপর্য ওইদিন ক্লাসের বেঞ্চে বসে না বুঝাতে আজ আরও একটুখানি বিস্তৃতভাবে জানার জন্য অনেক গভীরে যেতে হল।
এটি আসলে কেন ঘটে? যারা জানেন তারা উত্তরে বলবেন যে, জড়তা বা জাড্যের জন্য। যারা আরও একটু জানেন তারা বলবেন, গতি জড়তার
সেই বিতর্কিত প্রশ্ন ডিম আগে না মুরগি আগে ?
লেখাটির শিরোনাম হয়তো অনেকের কাছেই ফালতু মনে হয়েছে।কিন্তু কখনো কি আপনি
বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে ভেবে দেখেছেন , যে ডিমের সৃষ্টি আগে না মুরগির সৃষ্টি
আগে?এটি যদি আপনি বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে না দেখেন তাহলে হয়তো আপনি কখনো
এই প্রশ্নটির সঠিক কোন উত্তরে পৌছতে পারবেন না।কারন এই প্রশ্নটিকে আপনি যে
ভাবেই দেখেন না কেন এ রকম অনেক প্রশ্ন নিয়ে আমাদের পূর্বপুরুষ ও
প্রাচীনকালের মানুষেরা অনেক ভেবেছেন।কেউ কেউ হয়তো এগুলকে ধর্মীয়
দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখেছেন আবার কেউ হয়তো এগুলকে দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে
দেখেছেন।আপনি যদি সঠিক ভাবে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ না করেন তবে আপনি আজকের এই
প্রশ্নটিতে এক এক সময় এক এক সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছবেন।কারন ডিম ছাড়া যেমন
মুরগি সৃষ্টি সম্বব না, তেমনি মুরগি ছাড়া এই ডিমটি এল ই বা কোথা থেকে তাই
না?
মানব দেহের কিছু মজার তথ্য
১. একজন মানুষের রক্তের পরিমাণ তার মোট ওজনের ১৩ ভাগের এক ভাগ। অর্থাৎ ৬৫ কেজি ওজন মানুষের রক্তের পরিমাণ হল ৫ কেজি।
২. দেহে অক্সিজেন সরবরাহকারী লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ ২৫০০ কোটি এবং এরা ৪ মাস বাঁচে।
৩. রোগ প্রতিরোধকারী শ্বেত রক্ত কণিকার সংখ্যা ২৫০ কোটি এবং এরা মাত্র ১২ ঘন্টা বাঁচে।
৪. দেহের সব শিরাকে পাশাপাশি সাজালে দেড় একর জমির প্রয়োজন হবে।
৫. একজন মানুষের স্নায়ুতন্ত্র এত লম্বা যে তা দিয়ে পৃথিবীকে ৭ বার পেঁচানো যাবে।
৬. কোন অনুভূতি স্নায়ুতন্ত্রের মধ্য দিয়ে ঘন্টায় ২০০ মাইল বেগে প্রবাহিত হয়।
৭. দেহে ও মনে অনুভূতি আসলে তা মস্তিষ্কে পৌঁছতে ০.১ সেকেন্ড সময় লাগে।
৮. একজন শিশুর জন্মের সময় হাড় থাকে ৩৫০ টি।
৯. একজন মানুষ সারা জীবনে ৪০ হাজার লিটার মূত্র ত্যাগ
২. দেহে অক্সিজেন সরবরাহকারী লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ ২৫০০ কোটি এবং এরা ৪ মাস বাঁচে।
৩. রোগ প্রতিরোধকারী শ্বেত রক্ত কণিকার সংখ্যা ২৫০ কোটি এবং এরা মাত্র ১২ ঘন্টা বাঁচে।
৪. দেহের সব শিরাকে পাশাপাশি সাজালে দেড় একর জমির প্রয়োজন হবে।
৫. একজন মানুষের স্নায়ুতন্ত্র এত লম্বা যে তা দিয়ে পৃথিবীকে ৭ বার পেঁচানো যাবে।
৬. কোন অনুভূতি স্নায়ুতন্ত্রের মধ্য দিয়ে ঘন্টায় ২০০ মাইল বেগে প্রবাহিত হয়।
৭. দেহে ও মনে অনুভূতি আসলে তা মস্তিষ্কে পৌঁছতে ০.১ সেকেন্ড সময় লাগে।
৮. একজন শিশুর জন্মের সময় হাড় থাকে ৩৫০ টি।
৯. একজন মানুষ সারা জীবনে ৪০ হাজার লিটার মূত্র ত্যাগ
স্বপ্ন সম্পর্কিত কিছু মজার তথ্য !
০১. সাইকলজিষ্টদের মতে রাতে অনিদ্রা হওয়ার অর্থ আপনি হয়ত অন্য কারো স্বপ্নে জীবিত।
০২. আপনি কখনই একসাথে নাক ডাকতে এবং স্বপ্ন দেখতে পারবেন না।
০৩. গড়ে একজন মানুষ বছরে ১৪৬০টি স্বপ্ন দেখে। অর্থাৎ প্রতি রাতে গড়ে প্রায় ৪ টি।
০৪. আমাদের মষিÍষ্ক কোন চেহারা তৈরী করতে পারে না। আমরা স্বপ্নে যে সব চেহারা দেখি তার সবগুলোই আমরা আমাদের জীবনে কখনও না কখনও দেখেছি। আমাদের জীবনে আমরা পথে ঘাটে অসংথ্য চেহারা দেখি যা মনে রাখতে পারি না। কিন্তু আমাদের সাবকনসাস মাইন্ড তা ধরে রাখে এবং স্বপ্নে তা দেখায়।
০৫. প্রতিটি মানুষই স্বপ্ন দেখে। যদি আপনি মনে করেন আপনি স্বপ্ন দেখেন না তার অর্থ হয় আপনি তা মনে রাখতে পারেন না নয়ত আপনি জটিল কোন মানসিক রোগে ভুগছেন।
০৬. মানুষ তার জীবনের প্রায় ৬ বছর স্বপ্ন দেখে কাটায়।
০৭. সাধারনত গর্ভবতী মহিলারা অন্যান্যদের চেয়ে বেশী স্বপ্ন মনে রাখতে পারে। তার কারণ, গর্ভকালীন সময়ে তাদের অতিমাত্রায় হরমোনের পরিবর্তন হয়।
০২. আপনি কখনই একসাথে নাক ডাকতে এবং স্বপ্ন দেখতে পারবেন না।
০৩. গড়ে একজন মানুষ বছরে ১৪৬০টি স্বপ্ন দেখে। অর্থাৎ প্রতি রাতে গড়ে প্রায় ৪ টি।
০৪. আমাদের মষিÍষ্ক কোন চেহারা তৈরী করতে পারে না। আমরা স্বপ্নে যে সব চেহারা দেখি তার সবগুলোই আমরা আমাদের জীবনে কখনও না কখনও দেখেছি। আমাদের জীবনে আমরা পথে ঘাটে অসংথ্য চেহারা দেখি যা মনে রাখতে পারি না। কিন্তু আমাদের সাবকনসাস মাইন্ড তা ধরে রাখে এবং স্বপ্নে তা দেখায়।
০৫. প্রতিটি মানুষই স্বপ্ন দেখে। যদি আপনি মনে করেন আপনি স্বপ্ন দেখেন না তার অর্থ হয় আপনি তা মনে রাখতে পারেন না নয়ত আপনি জটিল কোন মানসিক রোগে ভুগছেন।
০৬. মানুষ তার জীবনের প্রায় ৬ বছর স্বপ্ন দেখে কাটায়।
০৭. সাধারনত গর্ভবতী মহিলারা অন্যান্যদের চেয়ে বেশী স্বপ্ন মনে রাখতে পারে। তার কারণ, গর্ভকালীন সময়ে তাদের অতিমাত্রায় হরমোনের পরিবর্তন হয়।
রোবটও পেল স্পর্শ অনূভুতি
প্রযুক্তির দিন দিন উন্নতি ঘটে চলেছে।আই.বি.এম তো ঘোষণা দিয়েছে পাঁচ বছরের মধ্যেই আমরা মোবাইল বা কম্পিউটার স্ক্রিন এর মাধ্যমে দূরের জিনিস ধরতে পারব।এই ভবিষ্যত বাণীটা ঠিক হওয়ার দিকে আমরা একধাপ কিন্তু এগিয়ে গেছি।বিজ্ঞানীরা যন্ত্রের মধ্যে বিভিন্ন বস্তুর স্পর্শ অনূভুতি জাগাতে সক্ষম হয়েছেন। এখানে যন্ত্রটি হল এক ধরনের মানুষের মত রোবট।ইউনিভার্সিটি অফ সাউর্দান ক্যালিফোর্নিয়া ভাইটারভি স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিজ্ঞানীরা এমনই একটি রোবর্ট তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন এবং এ সম্বন্ধে একটি লেখা প্রকাশ করেছেন।তারা এই রোবটটির হাতে এক ধরনের বিশেষ সেন্সর ব্যবহার করেছেন।এই সেন্সর এর গঠন অনেকটা মানুষের আঙুলের মত।এর উপরে বিশেষ ভাবে গঠিত চামড়া থাকে এবং তাতে তরল পদার্থের একটি স্তর ও থাকে। চামড়াতে একধরনের বিশেষ খাঁজ কাটা অংশ থাকে,অনেকটা আঙুলের রেখার মত।রোবটিক আঙুলটি যখন কোন বস্তুর উপর দিয়ে নেয়া হয়,তখন চাপের তফাত,উঁচু নিচু ইত্যাদির কারনে সেন্সরটি ভায়ব্রেশন উৎপন্ন করে।এই ভায়ব্রেশন আঙুলের মাঝখানে থাকা হাড়ের মত
বিজ্ঞানের অবাক যুগে আছি আমরা!! (নিজে নিজে পরিষ্কার হবে এমন কাপড় আবিষ্কার)
উফ্ কত কাপড় জমে গেছে। কখন এসব পরিষ্কার করব, ধুব। এটি প্রায় কয়েকদিন
পরপরই বলতে হয় আমাদের। বিশেষ করে যারা ছাত্র এবং আমার মত হলে কিংবা মেসে
থাকেন তাদের তো এটি একটি মহা যন্ত্রনা এবং আপদ।
কিন্তু ভাবুন একবার, শুধুমাত্র রৌদ্রের নিচে অথবা বারান্দার তারে ঝুলিয়ে রাখলেই যদি জিনস, সয়েটস অথবা মোজাগুলো নিজে নিজে পরিষ্কার এবং দুর্গন্ধ দূর হয়ে যোয় তাহলে কেমন হবে?
অনেক অদ্ভুত হবে নির্গাত। কিন্তু এই অদ্ভুত ব্যাপারটাই নাকি ঘটে গেছে। বিজ্ঞানীরা একটি নতুন সুতি কাপড় তৈরি করেছেন যাকে সূর্যালোকে রাখলে নিজেকে যে কোন ব্যাকটেরিয়া এবং দাগ থেকে পরিষ্কার করতে পারে।
মিঙ্গস লং এবং ডেয়ং উ জানিয়েছে তাদের নতুন এই কাপড়টিতে ব্যবহার করা হয়েছে টাইটানিয়াম ডাইঅক্সাইডের কোটিং। টাইটানিয়াম ডাইঅক্সাইড একটি সাদা ম্যাটেরিয়াল যা সাধারণত খাদ্যের সাদা রঙ থেকে সানস্ক্রিন লোশন তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
সাধারণ এসইএম ছবি (a)N-TiO2–সুতি কাপড় এবং
কিন্তু ভাবুন একবার, শুধুমাত্র রৌদ্রের নিচে অথবা বারান্দার তারে ঝুলিয়ে রাখলেই যদি জিনস, সয়েটস অথবা মোজাগুলো নিজে নিজে পরিষ্কার এবং দুর্গন্ধ দূর হয়ে যোয় তাহলে কেমন হবে?
অনেক অদ্ভুত হবে নির্গাত। কিন্তু এই অদ্ভুত ব্যাপারটাই নাকি ঘটে গেছে। বিজ্ঞানীরা একটি নতুন সুতি কাপড় তৈরি করেছেন যাকে সূর্যালোকে রাখলে নিজেকে যে কোন ব্যাকটেরিয়া এবং দাগ থেকে পরিষ্কার করতে পারে।
মিঙ্গস লং এবং ডেয়ং উ জানিয়েছে তাদের নতুন এই কাপড়টিতে ব্যবহার করা হয়েছে টাইটানিয়াম ডাইঅক্সাইডের কোটিং। টাইটানিয়াম ডাইঅক্সাইড একটি সাদা ম্যাটেরিয়াল যা সাধারণত খাদ্যের সাদা রঙ থেকে সানস্ক্রিন লোশন তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
সাধারণ এসইএম ছবি (a)N-TiO2–সুতি কাপড় এবং
একটি ছোট কিন্তু জোরালো ম্যাজিক
দর্শকদের নিশ্চিতভাবে অবাক করে দেবে, এমন ম্যাজিক আবিষ্কার করা একটি
কঠিন কাজ। ছোটবেলায় আমার কোনো জাদু-শিক্ষক ছিলেন না। পাইনি কোনো ম্যাজিক
শেখার বই। তাই নিজের কল্পনার ওপর ভর করে জাদু আবিষ্কার করতে হতো। তবে নিজের
কল্পনার মতো জাদুটি যখন দর্শককে চমকে দিত, তখন তা এক অনির্বচনীয় আনন্দের
সম্পদ হয়ে হূদয়ে জমা হতো। দর্শকেরা সম্পূর্ণ নতুন জিনিস উপহার পেলেন বলে
অনেক বেশি তারিফ করতেন। সুনাম খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ত। এমনই একটি মজার জাদু আজ
তোমাদের শিখিয়ে দেব।
দর্শকদের সামনে যা করবে(ক) একটি ম্যাচবাক্স পকেট থেকে বের করো।
(খ) ম্যাচকাঠির ড্রয়ার বা ট্রেটা আঙুল দিয়ে ঠেলে বের করো।
(গ) ট্রে-ভর্তি ম্যাচকাঠিগুলো টেবিলের ওপর ঢেলে দাও।
(ঘ) খালি ট্রেটা সবার সামনে ম্যাচবাক্সের মধ্যে ঢুকিয়ে
দর্শকদের সামনে যা করবে(ক) একটি ম্যাচবাক্স পকেট থেকে বের করো।
(খ) ম্যাচকাঠির ড্রয়ার বা ট্রেটা আঙুল দিয়ে ঠেলে বের করো।
(গ) ট্রে-ভর্তি ম্যাচকাঠিগুলো টেবিলের ওপর ঢেলে দাও।
(ঘ) খালি ট্রেটা সবার সামনে ম্যাচবাক্সের মধ্যে ঢুকিয়ে
ম্যাজিক!
আপনাকে একটি বরফ এবং একটি সুতা দেয়া হল। বরফটিকে সুতাটি দিয়ে ঝুলাতে হবে। কিন্তু সুতা দিয়ে বরফটিকে বাঁধতে পারবেন না। কি, ঝুলাতে পারবেন? অবাক হচ্ছেন নাকি এটা ভেবে যে এটা কি করে সম্ভব?
হ্যাঁ, এটা আসলেই সম্ভব।
তাহলে বলি কিভাবে এটা করা সম্ভব। প্রথমে যে সুতা দিয়ে বরফটিকে ঝুলাবেন, সেটিকে পানিতে ভালো করে ভিজিয়ে নিন। এবার বরফের টুকরাটিকে একটা পাত্রে নিয়ে সুতাটির এক প্রান্তকে বরফের টুকরার মাঝ বরাবর রাখি। এখন ধীরে ধীরে সুতা বরাবর বরফের উপরে লবণ ছিটাতে থাকুন। ২-৩ মিনিট অপেক্ষা করার পরে দেখবেন সুতাটি বরফ কেটে ভিতরে ঢুকে যাবে এবং তারপরে বরফটি আবার সুতাসহ জমে যাবে। এখন আপনি সুতাটির অপর প্রান্ত ধরে বরফটিকে উপরে উঠালে দেখবেন বরফটি সুতার সাহায্যে ঝুলছে।
এখন ভাবছেন এটা কিভাবে হল? তাহলে চলুন, এর কারণটা জেনে নিই।
এটা তো আমরা সকলেই জানি শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পানি বরফে পরিণত হয়। এই শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে পানির ফ্রিজিং পয়েন্ট বা হিমাংক বলে। পানির এই ফ্রিজিং পয়েন্টকে
নিউরন, আলো এবং অপ্টোজেনেটিক্স
আমাদের মগজটা অসাধারন একটা বস্তু। অসাধারন এর প্রয়োজনীয়তা, অসাধারন এর
জটিলতা। ছোট্ট-বদ্ধ একটা কোঠরে থেকেও, একটি কোয়ান্টাম কণার স্পন্দন থেকে
মহাবিশ্বের নিঃসীমতা- বহু কিছুই ধারন করতে পারে। ভালো লাগা, খারাপ লাগা,
চলাফেরায় ভারসাম্য রাখা- এই ব্যাপারগুলো মগজের নিউরনের মধ্যে ছড়ানো কিংবা
সাজানো থাকে। মন ভালো নাই- নির্দিষ্ট কিছু নিউরন কাজ করছে। সুন্দর একটি গান
শুনে মন ভালো হয়ে গেল, অন্য এক গুচ্ছ নিউরন এখন সক্রিয়। কিংবা ভাইভা দিতে
গিয়ে সব ভূলে যাওয়া, তখন সব নিউরন নিষ্ক্রিয়। মাত্রাতিরিক্ত সরলীকৃত করে
বলা যায় যে, নিউরনের সক্রিয়তা/নিষ্কৃয়তাই আমাদের আবেগ-অনুভূতি, আচরনের ভৌত
রূপ।
মানুষের স্বভাবই হচ্ছে শর্টকাট খোজা। সমুদ্র দেখতে মানুষের ভালো লাগে, তাই মানুষ কক্সবাজার যায়। কিন্তু সমুদ্রে তো সবসময় যাওয়া যায়না, তাই শর্টকাট হিসেবে আগের দিনে ঘরের দেয়ালে সমুদ্রের ছবি শোভা পেত। আস্তে আস্তে মানুষ বিজ্ঞান শিখলো, টেলিভিশন আবিষ্কার করে তাতে সমুদ্রের ছবি দেখতো। তারপর বিজ্ঞান আরো স্মার্ট হলো। মানুষ এখন শুধু শর্টকাট না, সব কিছু এক ক্লিকে চায়। এখন মানুষ এক ক্লিকে স্মার্টফোনে/ট্যাবে সমুদ্র দেখতে পারে। কিন্তু একটা সমস্যা সবসময়ই ছিল, মগজ তো ঠিকই বুঝে- কোনটা আসল সমুদ্র আর কোনটা
মানুষের স্বভাবই হচ্ছে শর্টকাট খোজা। সমুদ্র দেখতে মানুষের ভালো লাগে, তাই মানুষ কক্সবাজার যায়। কিন্তু সমুদ্রে তো সবসময় যাওয়া যায়না, তাই শর্টকাট হিসেবে আগের দিনে ঘরের দেয়ালে সমুদ্রের ছবি শোভা পেত। আস্তে আস্তে মানুষ বিজ্ঞান শিখলো, টেলিভিশন আবিষ্কার করে তাতে সমুদ্রের ছবি দেখতো। তারপর বিজ্ঞান আরো স্মার্ট হলো। মানুষ এখন শুধু শর্টকাট না, সব কিছু এক ক্লিকে চায়। এখন মানুষ এক ক্লিকে স্মার্টফোনে/ট্যাবে সমুদ্র দেখতে পারে। কিন্তু একটা সমস্যা সবসময়ই ছিল, মগজ তো ঠিকই বুঝে- কোনটা আসল সমুদ্র আর কোনটা
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)