পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায় শক্তি বলতে কাজ করার
সামর্থ্যকে বুঝায়। কাজ বা কার্য হচ্ছে বল (force) ও বলাভিমুখী সরণের
(displacement) গুণফল। কৃতকাজের পরিমাণ দিয়েই শক্তি পরিমাপ করা হয়।
অর্থাৎ বস্তুর শক্তি হচ্ছে ঐ বস্তু মোট যতখানি কাজ করতে পারে। সুতরাং কাজের
একক ও শক্তির একক অভিন্ন – জুল। ১ জুল = ১ নিউটন x ১ মিটার। শক্তি একটি
স্কেলার রাশি।
শক্তির রূপ
শক্তির বিভিন্ন রূপ আছে। মোটামুটিভাবে শক্তির নয়টি রূপ দিয়ে প্রাকৃতিক সব ঘটনার ব্যাখ্যা দেয়া হয়। শক্তির রূপগুলি হলঃ- যান্ত্রিক শক্তি
- আলোক শক্তি
- শব্দ শক্তি
- তাপ শক্তি
- চৌম্বক শক্তি
- বিদ্যুৎ শক্তি
- নিউক্লিয় শক্তি
- রাসায়নিক শক্তি
- সৌর শক্তি
শক্তির রূপগুলোকে সাধারণত সংশ্লিষ্ট বল অনুসারে ডাকা হয়।
শক্তির সংরক্ষণশীলতা নীতি
শক্তির যে কোন রূপকে অন্য যে কোন রূপে রূপান্তরিত করা যায়, কিন্তু মোট শক্তির পরিমাণ একই থাকে। একে শক্তির সংরক্ষণশীলতা নীতি বা শক্তির নিত্যতা সূত্র বলা হয়। শক্তির সংরক্ষণশীলতা নীতিকে এভাবে বিবৃত করা যায়ঃশক্তির সৃষ্টি বা বিনাশ নেই, শক্তি কেবল একরূপ থেকে অপর এক বা একাধিকরূপে পরিবর্তিত হতে পারে। মহাবিশ্বের মোট শক্তির পরিমাণ নির্দিষ্ট ও অপরিবর্তনীয়।শক্তি একরূপ থেকে অন্য রূপে পরিবর্তিত হলে শক্তির কোন ক্ষয় হয় না। একটি বা একাধিক বস্তু যে পরিমাণ শক্তি হারায়, অন্য এক বা একাধিক বস্তু ঠিক একই পরিমাণ শক্তি পায়। নতুন করে কোন শক্তি সৃষ্টি হয় না বা কোন শক্তি ধ্বংসও হয়না। সুতরাং এই মহাবিশ্ব সৃষ্টির মুহূর্তে যে পরিমাণ শক্তি ছিল, এখনও ঠিক সেই পরিমাণ শক্তিই আছে।