ধূমকেতু বিজ্ঞানীদের দিয়ে গেছে সূর্যের অনেক মূল্যবান তথ্য।

বছর তিনেক কিংবা একটু বেশি আগের, একটি ধূমকেতু বিজ্ঞানীদের দিয়ে গেছেন অনেক মূল্যবান তথ্য। সেই ধূমকেতু সম্পর্কে পড়াশোনা করতে করতে আস্তে আস্তে অনেক তথ্যই বেরিয়ে আসছে। একটি ধূমকেতু সূর্যের মুখোমুখি হওয়ার ফলে সূর্যের একটি এলাকা সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের নতুন ধারণা দিয়েছে যেখান দিয়ে কোন স্পেস্ক্রাফট কখনো যায় নি।

২০১১ সালে ধূমকেতু "লাভজয়" প্রচণ্ড বেগে সূর্যের একটি এলাকা করোনার(Corona) দিকে ধাবিত হয়।
টেলিস্কোপ দিয়ে তোলা ছবিতে দেখা গেছে ধূমকেতুর লেজ কিভাবে একটি শক্তিশালী চুম্বক ক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত হয়। তাতে কি কি প্রভাব রাখে। কিভাবে আকর্ষিত হয়। বিজ্ঞানীরা এরকম আকর্ষণ ধর্ম প্রথম আবিষ্কার করলেন। ক্যালিফোর্নিয়ার লকহিড মারটিন এডভান্স টেকনোলজি সেন্টারের Dr Karel Schrijver বলেন
"ধূমকেতুটি সূর্যের এমন একটি এলাকা দিয়ে পথ অতিক্রম করেছে যা সত্যিকার অর্থে আমরা আজো সে এলাকা সম্পর্কে জানি না। ওখানকার কিছু দেখতে পাইনি।"
"আমরা সূর্যের এত কাছাকাছি এলাকা সম্বন্ধে কিছুই জানতে পারি না। কারন স্যাটেলাইট সেখানে যেতে পারে না। স্যাটেলাইট সেখানে তীব্র তাপে পুড়ে গলে যাবে। সেখানটা সম্পর্কে আমরা কিছু দেখতেও পাই না, সেখান থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ আলোর কণিকা এসে ধরা দেয় না বলে। তবে ধূমকেতু 'লাভজয়' আমাদের সে এলাকার আবহমণ্ডল সম্পর্কে ধারণা দিয়েছে। ধারণা দিয়েছে সূর্যের চুম্বক ক্ষেত্র সম্পর্কেও। যা আমরা অন্য কোনো উপায়ে পেতাম না। ধূমকেতু লাভজয় যেটি অস্ট্রেলিয়ার এক জ্যোতির্বিজ্ঞানীর নামে নমকরণ করা হয় যিনি এই ধূমকেতু টি সূর্যের বায়ুমণ্ডলের কাছে ২০১১ সালের ১৫ই ডিসেম্বর প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন।

চিত্র: ধূমকেতু লাভজয়

ধূমকেতুর এই গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে, ধূমকেতুর উপর তার প্রভাব হিসাব করে সূর্যের চুম্বকীয় ক্ষেত্র সম্পর্কে আগের থেকে অনেক বেশি তথ্য পাওয়া যাবে।

শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট