জিকা ভাইরাস প্রসঙ্গ-

ডেঙ্গুর মতোই জিকার লক্ষণ

অধ্যাপক এবিএম আব্দুল্লাহ ডিন, মেডিসিন অনুষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

Collected From: 

মেডিভয়েস - MediVoice


জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ডেঙ্গুর মতোই লক্ষণ দেখা দেয়। দিনের বেলায় এডিস মশার কামড়ে এ রোগ ছড়ায়। তবে ডেঙ্গুর মতো এ রোগটি তীব্র ও প্রাণঘাতী নয়। 

চিকিৎসা না করালেও জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগী সাধারণত ৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এমনিতেই ভালো হয়ে যায়।‘জিকা’ নামটি নেওয়া হয়েছে উগান্ডার জিকা বন থেকে৷ ১৯৪৭ সালে বানরের দেহে এই সংক্রামক এজেন্টের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়। ১৯৫২ সালে এর নাম দেওয়া হয় জিকা ভাইরাস৷ বর্তমানে এটি দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। উত্তর আমেরিকাতেও ছড়িয়ে পড়ছে। তাই আমাদের দেশেও সতর্ক হওয়া দরকার।

যেভাবে ছড়ায়ঃ এডিস ইজিপ্টি নামের মশার কামড়ের মাধ্যমে এই ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করে৷ ফলে মশার কামড় থেকে বাঁচার যে উপায়গুলো আছে, সেগুলো মেনে চললেই এই ভাইরাসের আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব৷

লক্ষণঃ জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সাধারণত জ্বর, র্যাশ (চামড়ায় লাল ফুসকুড়ি), গোড়ালিতে ব্যথা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া—এসব লক্ষণ দেখা দেয়৷ এ ছাড়া পেশি, মাথায়ও ব্যথা হতে পারে৷ জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজনের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা থাকে৷

গর্ভবতী নারীরা বেশি সাবধান!ঃ শিশুদের ‘মাইক্রোসেফালি’ রোগ হওয়ার কারণ জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত গর্ভবতী মা৷ কিন্তু তার কোনো উপসর্গ আগে থেকে দেখা যাবে না। এই রোগ হলে শিশুদের মস্তিষ্কের গঠন ঠিকমতো হয় না। ফলে শিশুর বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হওয়া, শারীরিক বৃদ্ধি অস্বাভাবিক বা বিলম্বিত হওয়া থেকে শুরু করে অকালে মারা যাওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়৷

প্রতিষেধক নেইঃ এই রোগের চিকিৎসায় এখনো কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি৷ ফলে সতর্ক থাকাটাই হবে সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ৷ অবশ্য এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনা বিরল৷

প্রতিরোধঃ প্রতিরোধের মূল মন্ত্রই হলো এডিস মশার বিস্তার রোধ। এই মশা যেন কামড়াতে না পারে তার ব্যবস্থা করা। স্বচ্ছ-পরিষ্কার পানিতে এরা ডিম পাড়ে। ময়লা-দুর্গন্ধযুক্ত ড্রেনের পানি এদের পছন্দসই নয়। তাই এডিস মশার ডিম পাড়ার উপযোগী স্থানগুলোকে পরিষ্কার রাখতে হবে। একই সঙ্গে মশা নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।একমাত্র সচেতনতা ও প্রতিরোধের মাধ্যমেই এর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
অধ্যাপক এবিএম আব্দুল্লাহ ডিন, মেডিসিন অনুষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
সূএ: বিবিসি



বিস্তারিত নিচের লিংকে-http://www.medivoicebd.com/slider.php?slider_id=93


শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট