আপনার কি মনে হয় যে আপনি সবকিছু করে ফেলেছেন? আর খুব বিরক্ত বা ক্লান্ত হয়ে এই আর্টিকেলটি পড়ছেন? আচ্ছা, এই হল কিছু জিনিস যা আপনি ইন্টারনেটে করতে পারেন যখন ক্লান্তি বোধ করে থাকেন। বিষয়গুলি যাচাই করে দেখতে পারেন ইন্টারনেটের মজাদার দিকগুলো আবিষ্কার করতে।
১। ইন্টারনেট ব্রাউজারটি খুলুন। ফায়ারফক্স, গুগল ক্রোম, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার, সাফারি যাই ব্যবহার করুন না কেন, সেটা ওপেন
করুন।
করুন।
২। গেম খেলুন! BeFunGames, AddictingGame, Miniclip, ShockWave ইত্যাদি সাইটগুলো অনলাইন গেমের জন্য বিখ্যাত সাইট। আপনার পছন্দ অনুযায়ী আরও সাইট নির্বাচন করতে পারেন। এছাড়াও JayIsGamesথেকে আপনি ইন্টারনেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় গেমের তালিকা পাবেন।
৩। গান শুনুন! Pandora, Rhapsody, AOL Radio, Mysapce Music এবং Playlist হচ্ছে কিছু সাইট যেখানে আপনি ফ্রি অনলাইন মিউজিক শুনতে পারেন।
৪। কিছু কুইজে অংশ নিন! Quizilla, Quibblo, Quizfarm ইত্যাদি সাইটগুলোতে আপনি অনেক আকর্ষনীয় কুইজে অংশগ্রহন করতে পারেন। আপনাকে সাইটগুলোতে রেজিস্টার করার কোন প্রয়োজন নেই। আপনি ফেসবুক বা মাইস্পেসেও এই ধরনের কিছু কুইজের অ্যাপ খুঁজে পাবেন।
৫। চ্যাট করুন! বিভিন্ন চ্যাটিং সাইট যেমন Omegle –এ যোগ দিন যেখানে আপনি সারা বিশ্বের হাজার হাজার নতুন লোকদের সাথে পরিচিত হতে পারেন, চ্যাট বা ভিডিও চ্যাটও করতে পারেন।
৭। ফ্রি টিভি শো গুলো দেখুন! একদম লেটেস্ট থেকে শুরু করে আপনার পছন্দের পুরনো শো, সবকিছুই আপনার হাতের নাগালে। এর জন্য আপনি Hulu, Veoh, MySpaceTV, YouTube এর মত জনপ্রিয় সাইট দেখতে পারেন।
৮। ভিডিও দেখুন! Youtube বা DailyMotion এ যান মজাদার ও আমদপ্রদ যে কোন রকম ভিডিও দেখতে।
৯। ইমেইল চেক করুন। আপনি হয়তবা মজাদার অনেক ইমেইল পেতে পারেন যদি আপনি কোন একটি সার্ভেতে সাবসক্রাইব করে থাকেন।
১০। বিভিন্ন সাইট যেমন Digg ভিসিট করুন নানান বিষয়ের উপর আর্টিকেল বা ভিডিও পেতে। আপনার মত ইন্টারনেট ইউজার দ্বারা শেয়ার করা অনেক জিনিসই আপনি এখানে পাবেন যা আপনাকে হয়তবা ইন্টারনেটের সর্বোত্তম ব্লগের মতই মনে হবে।
১১। আপনার পছন্দের সার্চ ইঞ্জিনে যান এবং সার্চ করুন সেই সব বিষয় যাতে আপনি আগ্রহী। যেমন আপনি সার্চ করতে পারেন আপনার নাম, বন্ধুর নাম, বিভিন্ন শহর বা বিখ্যাত স্থানসমূহ ইত্যাদি।
১২। আপনার ফেসবুক, মাইস্পেস বা টুইটার অ্যাকাউন্ট চেক করুন। আজকের দিনে সোসিয়াল নেটওয়ার্কিং এর মত জনপ্রিয় বিষয়কে ইন্টারনেট বাবহারকারিরা এড়িয়ে চলতে পারে না। এই সব অ্যাকাউন্টগুলো আপনাকে বেশ কিছুভাবে আনন্দ দিতে সক্ষম। যেমনঃ বিভিন্ন পেজ আপডেট, অনলাইন গেম বা অ্যাপ্লিকেশান ইত্যাদি।
১৩। বিভিন্ন অনলাইন সার্ভে তে অংশ নিন। সময় অতিবাহিত করার এটি একটি ভাল মাধ্যম।
১৪। আপনি যদি সর্বশেষ খবরের প্রতি আগ্রহী হন, তাহলে আপনার পছন্দের বিষয় বা খেলাধুলার খবর রাখতে পারেন।CNN, New York Times ইত্যাদি সাইটগুলো থেকে শুরু করতে পারেন।
১৫। নিজের ব্লগ তৈরি করুন বা ব্লগ পড়ুন। WordPress বা Blogger এ আপনি নিজের ব্লগ খুলতে পারেন। নিজের অভিজ্ঞতা বা যেকোনো বিষয় শেয়ার করুন।
১৬। আপনি যদি তথ্যভাণ্ডারের খোঁজ রাখতে ভালবাসেন, তবে Wikipedia আপনার জন্য সর্বোত্তম। প্রয়োজনে তাদেরকে এডিটও করতে পারেন। যেমনঃ Wikihow ।
১৭। বিভিন্ন Strategic গেম খেলুন (ikariam, travian etc)! এগুলো আপনাকে আনন্দ দেবে আর সেই সাথে নতুন বন্ধু তৈরির সুযোগও দিবে।
টিপসঃ
- আপনি যদি করার কিছুই না পান তবে Google এ যান এবং আপনার যেই শব্দটিই মনে হয় তা দিয়ে সার্চ করুন। মুহূর্তেই আপনি সেই বিষয়ের হাজার হাজার সার্চ রেজাল্ট পেয়ে যাবেন।
- ইন্টারনেট বাবহারের ক্ষেত্রে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। অজানা বা নতুন কোন বাক্তির সাথে চ্যাটিং করার সময় এই বিষয়ে সতর্ক থাকবেন।
- আপনার অ্যান্টিভাইরাস, ফায়ারওয়াল ইত্যাদি আপডেটেড রাখুন যাতে করে ক্ষতিকর কোন লিঙ্ক বা ভাইরাস থেকে সুরিক্ষিত থাকতে পারেন।
- আপনি যদি ১৮ বছরের কম বয়সী হন, তবে অবশ্যই বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। কোন বিষয়ে সমস্যার বা নিশ্চিত না হলে বড়দের সাহায্য নিন।
- ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় খেয়াল রাখবেন আপনি কতখানি ডাটা ব্যবহার করছেন। বিশেষ করে যদি আপনি লিমিটেড বা প্রি-পেইড প্যাকেজ ব্যবহার করে থাকেন।
- ইন্টারনেটে আসক্ত হয়ে পরবেন না। বাস্তবিক জীবনে প্রায় যেকোনো ধরনের লোকের জন্যই এটা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়ায়।
- ইন্টারনেট সংযোগ (ব্রডব্যান্ডই বাঞ্ছনীয়)
- ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা
- সাধারণ জ্ঞানবোধ
- অভিভাবকের অনুমতি (প্রয়োজন হলে)
সতর্কতাঃ
- ইন্টারনেট বাবহারের ক্ষেত্রে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। অজানা বা নতুন কোন বাক্তির সাথে চ্যাটিং করার সময় এই বিষয়ে সতর্ক থাকবেন।
- আপনার অ্যান্টিভাইরাস, ফায়ারওয়াল ইত্যাদি আপডেটেড রাখুন যাতে করে ক্ষতিকর কোন লিঙ্ক বা ভাইরাস থেকে সুরিক্ষিত থাকতে পারেন।
- আপনি যদি ১৮ বছরের কম বয়সী হন, তবে অবশ্যই বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। কোন বিষয়ে সমস্যার বা নিশ্চিত না হলে বড়দের সাহায্য নিন।
- ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় খেয়াল রাখবেন আপনি কতখানি ডাটা ব্যবহার করছেন। বিশেষ করে যদি আপনি লিমিটেড বা প্রি-পেইড প্যাকেজ ব্যবহার করে থাকেন।
- ইন্টারনেটে আসক্ত হয়ে পরবেন না। বাস্তবিক জীবনে প্রায় যেকোনো ধরনের লোকের জন্যই এটা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়ায়।
যা যা প্রয়োজনীয়ঃ
- ইন্টারনেট সংযোগ (ব্রডব্যান্ডই বাঞ্ছনীয়)
- ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা
- সাধারণ জ্ঞানবোধ
- অভিভাবকের অনুমতি (প্রয়োজন হলে)